ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের শায়েস্তা করতে নেদারল্যান্ডসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করছে ইসরাইল। আর এটা তারা দুই দশকের বেশি সময় ধরে করে আসছে। এই খবর প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনিদের অনলাইন পোর্টাল ‘ইলেট্রোইন্তিফাদা’।
পশ্চিমতীরে নাবলুসের কাছে কুফার গ্রামে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়া আহমেদ সেউতায়ি ‘ইলেট্রোইন্তিফাদা’য় একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। ভিডিওটি ২০১২ সালে ধারণ করা। তাতে দেখা যায়, এক প্রতিবাদকারীকে একটি কুকুর দিয়ে নির্যাতন করছে ইসরাইলি নিরাপত্তাবাহিনী।
ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরাইলি নির্যাতনের এটি কোনো অদেখা চিত্র নয়। অনেক নির্যাতনের মধ্যে এটি একটি মাত্র। প্রশিক্ষিত এই ডাচ কুকুর নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়; যাদের মধ্যে শিশুরাও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ কৃষ্ণাঙ্গদের উপর ঠিক একই কায়দা ব্যবহার করে।
ইসরাইলে এই কুকুর না পাঠাতে নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে ফিলিস্তিনির মানবাধিকার গ্রুপ আল-হাক ও ডাচ আইনপ্রণেতারা।
আল-হাক ডিরেক্টর শাওয়ান জাবারিয়ান ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বের্ট কোয়েন্ডারস ও বাণিজ্যমন্ত্রী লিলিয়াম পোলিমেনকে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘বিক্ষোভ দমনের নামে ইসরাইল এই কুকুর নিরীহ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ভয় দেখাতে ও তাদের কামড়াতে ব্যবহার করে। এছাড়া রাতের বেলা ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময়ও এই কুকুর ব্যবহার করে ইসরাইলি নিরাপত্তাবাহিনী।
কুকুর প্রশিক্ষণ কোম্পানি ‘উইন্সড কে-নাইন’র মালিক টনি বোয়েজিন এনআরসি পত্রিকা বলেন, ‘আমি যতো কুকুর প্রশিক্ষণ দেই। তার ৯০ শতাংশই ব্যবহার করে ইসরাইল সেনাবাহিনী। গত ২৩ বছর ধরে প্রতিবছর কয়েক ডজন করে কুকুর ইসরাইলকে সরবরাহ করে আসছি।’
মানবাধিকার সংগঠন আল-হাক জানায়, বিক্ষোভ দমনে ইসরাইলের এই কুকুর ব্যবহার জেনেভা আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী। আর বোমা চুক্তি অনুযায়ী এটি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পরে বলেও উল্লেখ করে ওই মানবাধিকার সংগঠন। ইসরাইলে এই কুকুর ব্যবহার ও সরবরাহের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে নেদারল্যান্ডস জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনও।
ভিডিও –