‘জিপনিস’ দৃষ্টিনন্দন এক গাড়ির নাম। এ নামটা শুনতে হয়তো অনেকেই সুপরিচিত সেই ‘জিপ’ গাড়ির কথা মনে করছেন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন; সেই ‘জিপ’ থেকেই এসেছে জিপনিস।
ফিলিপিন্সের নগরীতে নানা রঙের ছবি, পোস্টার, স্লোগান এবং প্রতীক দিয়ে সাজানো জিপনিস চলছে অনেক আগে থেকেই। দেশটির রাজধানী ম্যানিলাতে জিপের মতো এই যানকে জিপনিস বলা হয়। জিপনিসের শৈল্পিক চিত্রকর্মের জন্য অনেক সময় একে কালচার অব আর্ট অথবা পথের রাজাও বলা হয়।
দেশটির সরকার ভাবছে পরিবেশবান্ধব এবং সস্তার গণপরিবহন হিসেবে জিপনিসকে ব্যবহার করলে ১০৫ মিলিয়ন জনগণ সুবিধা পাবে।
তবে এমন ঘোষণায় আগে থেকে থাকা জিপনিসের ২ লাখ চালক কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কারণ কম টাকায় এই গাড়ি চালাতে হলে তাদের জীবনযাত্রার মান কমে যাবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জিপনিসকে ইউএস’র সামরিক বাহিনীর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। তখন গাড়িটিতে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় স্লোগান, ফেস্টুন, রাশিফলের বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছিল।
পরে ম্যানিলা থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত জিপনিস চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু ১০ থেকে ১৬ জনের যাত্রীবাহী গাড়িটি কারো জন্যই সুবিধার ছিল না। নিরাপত্তার জন্য চারপাশে আটকানো না থাকার পাশাপাশি ধুলাবালি এবং সিট বেল্টের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় দুর্ঘটনায় পরতে হতো যাত্রীদেরকে।
এরপর জিপনিসের আধুনিকায়নে বসার জায়গা থেকে শুরু করে সিট বেল্ট, কাঁচের জানালা এবং ইলেকট্রিক পদ্ধতিতে চালোনার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়।
জিপিনিস চালকদের অভিযোগ, আধুনিকায়নের সাথে সাথে ভাড়া বাড়ানো হলে তাদের জীবন যাত্রার মান হয়ত উন্নত হত।
যদিও এই বিষয়ে সরকার পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি।