ফিরে এলো সেই মটো রেজর। সঙ্গে এনেছে ভাঁজ করা অত্যাধুনিক ডিসপ্লে।
প্রায় ১৫ বছর আগে প্রথম উন্মোচিত হওয়া মোবাইল ফোন ও স্মার্ট গ্যাজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মটোরোলার জনপ্রিয় এই ফ্লিপ ফোন সিরিজটি নতুন আকর্ষণীয় এই ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে নিয়ে বাজারে আসছে।
এর আগে ফোল্ডিং ডিসপ্লে নিয়ে প্রথম প্রোটোটাইপ স্মার্টফোন তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল টেক জায়ান্ট স্যামসাং। ‘স্যামসাং ফোল্ড’ নামের পরীক্ষামূলক সেই ডিভাইসগুলো পরীক্ষকদের হাতে পড়ে এক থেকে দু’দিনেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সফলতা দেখিয়ে দিলো মটোরোলা। নতুন মটো রেজর ফোনটি একটি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সবার সামনে হাজির করেছে কোম্পানিটি।
ম্যাশেবল জানায়, সংবাদ সম্মেলনে সক্রিয়, কর্মক্ষম এবং টেকসই ফোল্ডেবল ডিসপ্লেই শুধু উপস্থাপন করেনি মটো রেজর। ফোনটি তার সেই আইকনিক রূপ ঠিকই ধরে রেখেছে।
ভাঁজ করা হলে ফোনটির চেহারা ঠিক আগেকার চারকোনো রেজর মডেলের মতো হয়ে যায়। তবে আকারে হয়েছে পুরনো ফোনটির চেয়ে একটু বড়। কিন্তু আকৃতি ও চেহারার এই অসাধারণ মিলই ফোনটিকে যেন করেছে আরও বেশি আকর্ষণীয়।
যেখানে অন্যান্য ডুয়েল স্ক্রিনওয়ালা ফোল্ডেবল ফোনগুলোর আকার বেঢপ রকমের বড় হয়ে যাচ্ছে, সেখানে নতুন রেজর তার আগের জনপ্রিয় আকৃতি এবং তুলনামূলক ছোট মুঠোয় ধরার মতো আকারের কারণে ইতোমধ্যে প্রযুক্তি বিশারদ এবং গ্যাজেট অনুরাগীদের চোখে পড়ে গেছে।
ভাঁজ করা অবস্থায় স্মার্টফোনটির ওপরের ‘কুইক ভিউ’ ডিসপ্লেটির আকার হয় ২.৭ ইঞ্চি, যেখানে নোটিফিকেশন দেখার পাশাপাশি কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এমনকি সেই স্ক্রিন থেকেই তোলা যাবে সেলফি।
ভাঁজ অবস্থায় ফোনের ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাটি ব্যবহৃত হয় সেলফি তোলার জন্য। ভাঁজ খোলা হলে ক্যামেরাটি পেছনে চলে যায়। ওই অবস্থায় সেলফি তোলার জন্য সামনে আরেকটা ৫ মেগাপিক্সেল রেজোল্যুশনের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
ভাঁজ খোলার পর ফোনটির ৬.২ ইঞ্চির ‘ফ্লেক্সভিউ’ ওএলইডি ডিসপ্লেটি বের হয়ে আসে। অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় ডিসপ্লেটি একটু চিকন। তবে এর ফলে অবশ্য এক হাতে ফোনটি ধরে চালাতে বেশ সুবিধা হয়।
নতুন ফিচারের সঙ্গে পুরনো মডেলের একটি ফিচারও ধরে রেখেছে নতুন রেজর ফোন। সেটি হলো এর চওড়া ‘চিন’ বা নিজের দিকের চওড়া অংশ। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ছাড়াও এতে ফোনের স্পিকার এবং অ্যান্টেনাগুলো বসানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মটো রেজরের স্মার্ট ডিজাইন নিয়েও অনেকে বেশ প্রশংসা করেছেন। ফোনের দু’টো অংশের মধ্যে জায়গা রাখা হয়েছে খুব কম। ফলে ফোনটির ভাঁজ খুলে সোজা করলে দুই অংশের মধ্যকার ভাঁজটি দেখা যায় না বললেই চলে। সেটি স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ডের ক্রিজ বা ভাঁজের মতো দৃশ্যমান নয়।
নতুন মটো রেজরের মূল্য আপাতত ধরা হয়েছে ১৪৯৯ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।