মিরপুরে টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সাকিব আসেন সংবাদ সম্মেলনে। ফিটনেস প্রসঙ্গ বারবার ঘুরে ফিরে আসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে। সাকিব ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিষদভাবে।
‘খেলোয়াড়দের ইনডিভিজুয়াল বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সে আসলে কোন জিনিসটায় ফিট মনে করে। ম্যাচ ফিট আর ফিজিক্যালি ফিট দুইটা দুই ধরণের সংজ্ঞা। অনেকেই আছে ম্যাচে অনেক ওভার টানা বোলিং করতে পারে ৬-৭-৮ ওভার। কিন্তু টেস্টে (ফিটনেস টেস্টে) দেখা যাচ্ছে ১০ পর্যন্ত ক্রস করছে না। আবার অনেকে আছে ১২-১৩ দেয় কিন্তু ৫ ওভারও করতে পারে না। আসলে ফিটনেসের সংজ্ঞা একেক জায়গায় একেক রকম। ম্যাচ ফিট আর ফিজিক্যাল ফিটনেস দুইটা দুই ধরণের জিনিস। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ খেলে গিয়েছিলাম। ওই জিনিসটা আমাকে সাহাজ্য করেছে। আমি জানতাম প্রথম দুদিন আমার জন্য খুব কষ্টকর হবে চট্টগ্রাম টেস্টে। তারপর আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। একটু সুযোগ নেওয়া বলতে পারেন। সুযোগটা ক্যালকুলেটিভই নেওয়া।’
‘বোলিং একটা জিনিস যেটাতে আমার আত্মবিশ্বাস লেভেল বেশি ভাল থাকে। দু’একবার এমন হয়েছে যে বোলিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। এর বাইরে সবসময়ই আমার বোলিং নিয়ে ভাল লাগা ছিল। আর আমি তো সিরিজের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ খেলেছি। আর এতদিন একটা ক্রিকেটার খেলার পরে ১০-১৫ দিনের ক্যাম্প করে খেলার সময় থাকে না। এরকম সময়ে একটা ক্রিকেটারের জন্য তিন-পাঁচটা সেশনই যথেষ্ট। ফিটনেস না থাকলে হয়ত ৬ সেশনে নিজেকে নিয়ে আসতে পারব। ক্যাম্প করা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না, গুরুত্বপূর্ণ হল আমি প্রসেস ঠিক রেখে কতটুকু কাজ করছি বা করতে পারছি কিনা।’