সারাদেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দ করতে এবং যারা এসব লাইসেন্স ব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতেও আদেশ দেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ভুয়া লাইসেন্সধারীদের বিরুদ্ধেও নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চলাচলের কারণে জীবন ও সম্পদহানি ঠেকাতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে জারি করা রুলে।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, আদালত ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ১৯ লাখ ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দ করে ওই সব চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪ সপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগ ও স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘সড়ক দুর্ঘটনাঃ প্রায় ১৯ লাখ ভুয়া লাইসেন্সধারী চালকদের দখলে মহাসড়ক’ শিরোনামে একটি ইংরেজী পত্রিকায় ২ আগষ্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ১৫ থেকে ২১ জুলাই সারা দেশে ১৫৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯১ জন মারা যান। ৬০ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য চালকরা দায়ী।
এমনকি পরীক্ষা ছাড়াই ১ লাখ ৯৮ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আর সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৮ জন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলের বিষয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।