প্রথম ওভারেই লিটন দাসের উইকেট। পরের ওভারে সাজঘরে পাঠালেন আফিফ হোসেন ও অলক কাপালিকে। তৃতীয় ওভারে শিকার আন্দ্রে রাসেল। মোহাম্মদ আমিরের ৩ ওভারের প্রথম স্পেলেই শেষ রাজশাহী রয়্যালসের টপ-মিডল অর্ডার। ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি নিয়ে এলো ২৭ রানের জয়। প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে উঠে গেলে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স।
খুলনা-১৫৮/৩, রাজশাহী-১৩১/১০
শেষ ওভারে আমির আরও দুই উইকেট নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সেরা বোলিং উপহার দিলেন। ৪ ওভারে ১৭ রানে ৬ উইকেট। বিপিএলে আগের সেরা বোলিংও এক পাকিস্তানি পেসারের। ২০১২ সালে প্রথম আসরে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সামি।
প্রথম কোয়ালিফায়ার হারলেও রাজশাহী আরেকটি সুযোগ পাবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামার। বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সোমবার দুপুরে এলিমিনেটরে ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এই ম্যাচের জয়ী দল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে খুলনার বিপক্ষে লড়বে।
আমির পাওয়ার প্লে’তে বোলিং করেন ৩ ওভার। ১২ রানে নেন ৪ উইকেট। রাজশাহী ৩৩ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়া দলের হয়ে পরে একাই লড়েছেন শোয়েব মালিক। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৫০ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে কমান হারের ব্যবধান।
আমিরের আগুন ঝরানো রাতে শেষ দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রবি ফ্রেইলিঙ্ক ও শহিদুল ইসলাম।
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রাইলি রুশোর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল খুলনা। নাজমুল হোসেন শান্ত-শামসুর রহমান শুভ ৯৮ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামলে দলকে নিয়ে যান লড়াকু পুঁজির দিকে।
আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত ৫৭ বল খেলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বাঁহাতি ওপেনার মারেন ৪টি ছক্কা ও ৭টি চার।
দলের রান যখন একশ ছুঁইছুঁই তখন আউট হন শামসুর। ৩১ বলে করেন ৩২ রান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরার আগে অধিনায়ক মুশফিক করেন ১৬ বলে ২১ রান।
শেষদিকে নজিবউল্লাহ জাদরান ৫ বলে ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে দেড়শ পেরিয়ে যায় খুলনা।
দারুণ বোলিং করেছেন মোহাম্মদ ইরফান। বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন রবি বোপারা।