শাহাদাত হোসেন তিতু, ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দায় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে রওশন আলি (৪৮) ও তুহিন মিয়া (২৮) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো সাত জন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, আহত অপর পাঁচ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালিবাড়ি-ঝাটুরদিয়া আঞ্চলিক সড়কে কাইচাইল মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলার সাথে জড়িত হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়, তার সহযোগী তাপস ও গাড়ি চালক আব্দুস ছাত্তারকে মাদারীপুরের শিবচর থেকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাইচাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডুর সমর্থকদের সঙ্গে নগরকান্দা উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক হাচান মিয়া ও তার ভাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হানিফ মিয়া ও তাদের লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু বলেন, মাদরাসা মাঠে বসে আমাদের লোকজন কোরবানির বিষয়ে আলাপ করছিল। এ সময় হাচান মিয়া ও তার ভাই হানিফ মিয়া সহ ১০/১২ জন লোক হঠাৎ পিস্তলসহ আলাপরত লোকদের উপর অতর্কিত গুলি চালায়। এতে রওশন আলী (৪৮), মাওলা (৩০), রায়হান মিয়া (৭০) বিপ্লব (২৫), তুহিন মিয়া (২৮), আনিচ মীর (২৪), ফারুক মাতুব্বর (৪০), চুন্নু মিয়া(৪৮) সুমন মিয়া (২৮) নামের নয়জন গুলিবিদ্ধ হয়।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামদা প্রসাদ জানান, আহতদেরকে প্রথমে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আহতদের মধ্যে সাত জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই রওশন ও তুহিনের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, কোরবানির প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেখানে রওশন আলির সাথে হৃদয় নামের এক যুবকের বচসা হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই সূত্র ধরে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে আর এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর থেকে হানিপ ওরফে রিদয়, তুষার, ছত্তারকে আটক করা হয়েছে।