বিশিষ্ট কলামিস্ট, কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার কিছুটা সুস্থ বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। তিনি বর্তমানে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে অনেকগুলো শারীরিক পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। সেগুলো করা হচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন।
ফরহাদ মজহারকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত আদাবর থানা থেকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদাবর থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির কমিশনারের নির্দেশে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতেই মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদারকি কর্মকর্তা হলেন- ডিবির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) সাজ্জাদুর রহমান।
ফরহাদ মজহারকে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে উদ্ধারের পরে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর আদাবর থানায়। সেখানে তার সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ‘হক ভবন’ থেকে স্বাভাবিক পোশাকে, স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই জানিয়েছিলেন, কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
সেসময় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ফরহাদ মজহার নিয়মিত যে নম্বর ব্যবহার করেন তার বদলে মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন এমন নম্বর থেকে তার স্ত্রীর ফোনে ফোন আসে।
প্রয়োজন হতে পারে জানিয়ে ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখতে বলেছিলেন।
এরপর নিখোঁজ লেখক-কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইল ট্রাকিংয়ের ম্যাধমে মোবাইলের লোকেশন সনাক্ত করে খুলনার কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
পরে রাতে যশোর থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে। মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়।