ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে পাহারারত সৈন্যরা ১৬ই ডিসেম্বরের পরেও তাদের দায় দায়িত্ব পালন করে অর্থাৎ মুজিব পরিবার তখনো মুক্তি পায়নি পাকিস্তানিদের রাহু থেকে। চারদিকে জয় বাংলা ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বাংলার আকাশে বাতাসে, মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার রাস্তায় বিজয় উল্লাসে মত্ত। অথচ, ঘরের ভেতর থেকে মুক্ত আলোর ছোঁয়ায় বের হতে পারছেন না শেখ হাসিনারা। ফজিলাতুন নেছা মুজিব দুশ্চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন কিন্তু কাউকে বুঝতে দিতেন না।
বাড়ির প্রহরীরা সে সময়ে সারেন্ডার না করায় দুশ্চিন্তা আরো গাঢ় হয়। রাগে ফজিলাতুন নেছা প্রহরীদের ডেকে নিয়ে বলেন ‘তোমাদের নিয়াজী সারেন্ডার করছে, তোমরা করো না কেন?’ প্রতিউত্তরে তারা বলেন, ‘নিয়াজী করুক, আমরা করবো না।’ বাড়ির আশেপাশের লোকজন অর্থাৎ প্রতিবেশিরা হামলার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন, কারণ সবাই আতংকে ছিলেন শেষ সময়ে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপর মরণকামড় দিতে পারে এবং যার ফলে আশেপাশের মানুষেরা হতাহত হতে পারে। অনেকেই আবার বুদ্ধিজীবী হত্যার ন্যায় মুজিব পরিবারের উপর হত্যাযজ্ঞের আশংকা করেন।
ধানমন্ডির ১৮ নং বাড়ির পাশেই থাকতেন সিকানদার আবু জাফর, তিনিও পাকিস্তানিদের ভয়ে বাসা ছেড়ে চলে যান। পরে ঐ বাসায়ই আসেন কামাল হায়দার। এক সময় দেখা গেল, তিনিও জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তখন বেগম মুজিব উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাবা আমাদের একা ফেলে চলে যাচ্ছো? ভদ্রলোক এবার বললেন, ‘যাবো না। মরলে এক সাথে মরবো।’ রেডিও তে খবর আসল দেশ স্বাধীন কিন্তু ১৮ নম্বরের বাসিন্দারা বন্দিজীবন যাপন করছে। যন্ত্রণা, ভয়, শঙ্কা একত্রিত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনতেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবার। ভয়ের ও যথেষ্ট কারণ ছিল সে সময়েও, মানে ১৬ ই ডিসেম্বরের পরেও অনেক বাড়িতে হত্যার মিশন চালায় পাকিস্তানি সৈন্যরা ও তাদের এ দেশীয় দোসররা।
সে সময়ে শেখ মুজিবের পরিবার কতটা আতংকে ছিল তার স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরতে শেখ রেহানা বর্ণিত দু একটি ঘটনা তুলে ধরলে সহজে অনুধাবনযোগ্য হবে বিষয়টা। শেখ রেহানার ভাষ্য ‘বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ খোলা কন্ঠের গান ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ শুনে আমি লাফিয়ে জানালায় উঠে জয়বাংলা চেঁচাতে দেখি খোলা জিপের ওপর মুক্তিযোদ্ধা খসরু এবং আরও অনেকে। সবাই সবুজ রঙের পোশাক পরা। জানালার কাছে বুকের মধ্যে জয়কে জড়িয়ে নিয়ে আপা আমাকে সামলাতে চেষ্টা করছে, ‘তোকে মেরে ফেলবে, নাম, নাম।’ আমি সেই জানালায় দাঁড়িয়েই দেখলাম হঠাৎ গুলি এসে লাগলো দুজন মুক্তিযোদ্ধার পায়ে। মুহূর্তে গাড়ি ঘুরিয়ে ওরা ক্ষিপ্রবেগে বেরিয়ে গেলো।’ বিজয় অর্জনের পরেও হত্যাযজ্ঞের মিশনে নেমেছিল পাকিস্তানি সৈন্যরা অথচ এরাই রেসকোর্স ময়দানে পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে আত্নসমর্পণ করেছিল।
ফজিলাতুন নেছার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা বিজয় লাভের অব্যবহিত পরের ভয়াবহতা উল্লেখ করে আরো বলেন ‘রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনোর বাবা-মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চপল আর খালাত বোন ড. আয়েশা বেদেরা চৌধুরী দেশ স্বাধীন হবার আনন্দে, প্রধানত ড. আয়েশার একান্ত উচ্ছাসে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে ১৮ নম্বর বন্দিশলার সামনে আসতেই ছাদের উপরের বাঙ্কার থেকে প্রহরীরা গুলি ছোড়ে। ড. আয়েশা আর গাড়ির ড্রাইভার মারা যান ওদের গুলিতে। চপল আহত হন।’ এ রকম গুরুতর অবস্থায় ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে বন্দীদের পাহারায় থাকতে হয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে অভিভাবকহীন থাকায় চরম দুর্দশার মধ্যে অতিবাহিত করতে হয়েছে বন্দি দশা থাকা অবস্থায়। তখনো পরিবারের বাইরের কাউকে ধানমন্ডির ১৮ নং বাড়িতে আসতে দিত না।
এ ঘটনার দিন রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জের জোহা সাহেবকে হত্যা করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যার জন্য বিকল্প চিন্তা আনা হয়। সে হত্যাচেষ্টায় পাকিস্তানের সৈন্যরা সরাসরি জড়িত না থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পরিচিতদের দিয়ে খুন করানোর চেষ্টা চালানো হয়। শেখ রেহানার এক বান্ধবীর বাবাকে দিয়ে হত্যার পরিকল্পনার নেয়া হয়। বাসায় এনে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঐ লোক পরে শেখ মুজিবের পরিবারের সামনে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এমন দুর্বিষহ অবস্থায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফজিলাতুন নেছা মুজিব কতটা চিন্তা এবং বেদনার মধ্যে ছিলেন তা কেবল একজন মমতাময়ী মা বুঝতে পারেন, সেই কঠিন সময়ে শেখ হাসিনার কোলে সদ্যোজাত জয়। এহেন পরিস্থিতিতে ফজিলাতুন নেছা মুজিব কখনো মনোবল হারাননি, দিন গুনে অপেক্ষা করেছিলেন প্রিয় স্বামীর জন্য। স্বামী দেশে ফিরে আসবেন এবং তিনিও তার বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পূর্বে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ভূমিকা
দেশ স্বাধীন হল কিন্তু যার আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা তাঁর অনুপস্থিতিতে বাঙালি জাতি উচ্ছ্বাসে উদ্ভাসিত হতে পারছিল না। মানুষটি কি বেঁচে আছে না নাই এ হদিস ও জানা ছিল না পরিবারের কারো কাছেই, এমনকি দেশের কোন নেতা কর্মীও জানত না বঙ্গবন্ধুর অবস্থান। কেননা, ২৫শে মার্চ রাত্রিতে গ্রেফতারের পরে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সে মানুষটির কোন খোঁজ খবর জানা ছিল না কারো। স্বাধীনতা বিজয় লাভের পরে দলে দলে মানুষ এসে ধানমন্ডির ১৮ নং বাড়িতে আসতে থাকে। ফজিলাতুন্নেসার দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামাল মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঘরে ফিরে এসেছেন অথচ বঙ্গবন্ধুর কোন খোঁজ নেই রেণুর নিকট। ফজিলাতুন নেছা মুজিব অত্যন্ত ধৈর্যশীল এবং বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন, বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে সবাইকে সান্তনার বাণী শুনিয়েছিলেন যে, তিনি শীঘ্রই আসবেন। অথচ তিনিও জানতেন না ওনার স্বামী বেঁচে আছেন না মেরে ফেলা হয়েছে।
পরিবারের এ অস্থির সময়ে দলীয় কর্মী, নেতা, সাংবাদিক, বিদেশী কূটনৈতিক, আত্নীয় স্বজনদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে। অবশেষে ১৯৭২ সালের ৯ই জানুয়ারি বঙ্গললনা, বাঙালির অগ্রযাত্রার যোগ্য সেনানী ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সাথে তাঁর প্রিয়তম স্বামীর ফোনালাপ হয়। সে সময় আনন্দে অশ্রুসংবরণ করতে পারেন নি বঙ্গবন্ধুর আদরের রেণু। ওপাশ থেকে বঙ্গবন্ধুও নিজে আবেগের তাড়নায় অশ্রুসংবরণ করেছিল। কি অদ্ভূত ভাবাবেগ, রাজনৈতিক দর্শন এবং বিজ্ঞতা ছিল রেণুর, তিনি পরের দিন ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানের প্রদত্ত ভাষণ রেডিওতে শুনে তা সংবরণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সে ভাবেই দেশ পরিচালনার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন প্রিয় স্বামীকে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফজিলাতুন নেছা নীলিমা ইব্রাহিমের খোঁজে তার ফুলার রোডের বাসায় যান। ফজিলাতুন নেছা’কে দেখে ঐ বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায় এবং বাড়ির মেয়েরা লুচি দিয়ে আপ্যায়ন করেন। ফজিলাতুন নেছা মুজিব নীলিমা ইব্রাহিমকে উদ্দেশ্য এবং অনুরোধ করে বলেন ‘আপা, দেশ-বিদেশ থেকে সারাদিন কতো সাংবাদিক আসছে, কতো ভাবে কতো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে। যার যা খুশি জবাব দিচ্ছে। কিছু বুঝতে পারছি, কিছু না। তাই আপনার ভাই না আসা পর্যন্ত সকালটা আপনি আমার সঙ্গেই থাকবেন। এতোটুকু বিলম্ব না করে বেগম মুজিবের সঙ্গে গাড়িতে উঠলাম। শিশু রাসেল মায়ের হাত ধরে রইল সর্বক্ষণ। দস্যুরা ওদের বন্দি করে ধানমন্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাড়িতে রেখেছিল। সেই বরাদ্দকৃত বন্দি বাড়িতেই ওরা এখনো আছে।’ সাংবাদিক এবং প্রতিনিধি দলের সাথে যোগাযোগের কোন ঘাটতি যেন না হয়, তথ্যের অপলাপ যেন না হয় তার নিশ্চয়তার জন্যই নীলিমা ইব্রাহিমকে ডেকে নিজ বাসায় নিয়ে যান ফজিলাতুন নেছা।
স্বাধীনতার অব্যবহিত সময় পরে ইন্দিরা গান্ধীর দূত হিসেবে বাংলাদেশে আসেন ডি.পি.ধর। ১৯৭১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন ধর এবং সেদিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডির অস্থায়ী আবাস্থলে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সাথে দেখা করেন এবং সে সাক্ষাতপর্বে উপস্থিত ছিলেন আবদুস সামাদ আজাদ। মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্তরীণকালিন সময়ের বিভীষিকা স্মৃতি দোভাষীর মাধ্যমে ডি.পি.ধরের কাছে বর্ণনা করেছিলেন বেগম মুজিব। অত্যন্ত সাবলীলভাবে পাকিস্তানিদের নির্যাতন ও বাঙালিদের হতাহতের কথা জানিয়েছিলেন ভারত সরকারের দূতকে। দূত ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে ফজিলাতুন নেছাকে আজমির শরিফ গমনের নিমন্ত্রণ করেন এবং প্রতিউত্তরে বঙ্গবন্ধু সহ ভারত গমনের ইচ্ছে পোষণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবর্তন, নতুন সরকারকে সাহায্য প্রদান, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্থাপন এবং অন্যান্য জরুরী বিষয়ে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৯৭২ সালের ৯ই জানুয়ারি সকাল ৬টা ৩৬ মিনিট সময়টা বিশ্বের সকল বাঙালি ও ব্রিটিশদের ইতিহাসে একটি স্বর্নোজ্জ্বল দিন। বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কুয়াশা সিক্ত ভোরে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমান বন্দরে নির্দিষ্ট গাড়ি অপেক্ষামান ছিল বাঙালির নয়নের মণিকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বাঙালির রাখাল রাজাকে সতর্ক পাহারায় অভিজাত ক্যারিজ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর চাউর হওয়ার পরে প্রবাসী বাঙালিরা দলে দলে ভিড় জমাতে থাকে হোটেলটির সামনে। মুজিব ভক্তদের প্রচণ্ড ভীড় লক্ষ্য করা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। তৎকালিন বৃটেন সরকার সমগ্র বাঙালির হৃদয়ের ধন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যথাযোগ্য মর্যাদায় গ্রহণ করেন বীরের বেশে। লন্ডনে শেখ মুজিবের প্রেস কনফারেন্সের বক্তব্যের কিছু অংশ রেডিওতে প্রচারের পূর্বে বিবিসি নিউজের ঘোষক আবেগময় বাণীতে বলেছিলেন “বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী লোকদের সান্তনার জন্য শেখ মুজিবের কণ্ঠস্বর।”
সে রেডিওতে জাতির জনকের কণ্ঠস্বর শুনে স্বাধীন বাংলাদেশে ধানমন্ডির ১৮ নং বাড়িতে কেউই চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। সেদিন রাতেই বঙ্গবন্ধুর সাথে টেলিফোন ধরিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডির ১৮ নং বাড়িতে। টেলিফোন সংযোগ পাওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুর প্রথম প্রশ্ন ছিল “তোরা বেঁচে আছিস?” ছেলে মেয়েরা একের পর এক কথা বলছে। এক পর্যায়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সাথে কথোপকথন হয় বঙ্গবন্ধুর। রেণু টেলিফোন ধরার সাথে সাথে বাঙালির রাজাধীরাজ বিশাল হৃদয়ের অধিকারী শেখ মুজিব নিজেকে খানিকটা সামলিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন। তবে অসীম ধৈর্যের অধিকারী, অসাধারণ মনোবলের অধিকারী, প্রেরণাময়ী ফজিলাতুন নেছা মুজিব নিজেকে সামলে নিয়ে বলেছিলেন, “বোকার মত কাঁদতে নেই। তুমি তো কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধু নও, শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কই নও, তুমি তো নিজেই একটি দেশ। দেশ তো কাঁদতে পারেনা। জান, আমার এখনও ভয় হয়, তোমাকে আদৌ আমরা ফিরে পাবো কিনা?”
এই ছিল আমাদের ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বাঙালির রত্ন, সকলের নয়নমণি। নিজে খুব কষ্টে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়, থাকার বাসা দুষ্প্রাপ্য ছিল, কিন্তু স্বামীর কাছে নিজের কষ্টের কথা একবার ও না বলে বরঞ্চ স্বামীকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু এমন একজন সহনশীল ও মমতাময়ী নারীকে পেয়েছিলেন বিধায় রাজনীতিটাকে নিজের ধ্যান জ্ঞান ও পেশা হিসেবে নিতে পেরেছিলেন। সমস্ত পিছুটানের দায়দায়িত্ব নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদরের রেণু।
চলবে…