‘অভিনেতা হিসেবে জীবনে বহু পুরস্কার আমি পেয়েছি, সম্মাননা পেয়েছি। তবে পরিচালক হিসেবে এই পুরস্কার আমার জন্য বিরাট স্বীকৃতির।’
‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণের পর এভাবেই নিজের অনুভূতি জানালেন চিত্রনায়ক, চিত্রপরিচালক আলমগীর।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির উদ্যোগে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় ‘১৭তম ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নির্মাতা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীসহ ফজলুল হকের স্নেহধন্য অনেকে। অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ফজলুল হকের মেয়ে, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী।
ফজলুল হকের স্মৃতি রক্ষায় প্রতি বছর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিককে সম্মাননা জানানো হয়। কিন্তু এবছর করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোটপরিসরে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। চিত্রপরিচালক হিসেবে আলমগীর ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক হিসেবে শামীম আলম দীপেনকে উত্তরীয়, সন্মাননাপত্র, ক্রেস্ট সহ নগদ অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন অতিথিরা।
পুরস্কারপ্রাপ্তির পর শামীম আলম দীপেন নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি ফজলুল হক সাহেবকে দেখিনি, তবে আমি ফরিদুর রেজা সাগরকে দেখেছি। ফরিদুর রেজা সাগরের যে আলোকিত জীবন, তা থেকেই ফজলুল হককে চেনা যায়। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত আজকের এই পুরস্কারটি পেয়ে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
১৯৩০ সালে বগুড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ফজলুল হক। ১৯৯০ সালের ২৬ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন এ দেশের প্রথম সিনেমা বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৫০ সালে বগুড়া থেকে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকাশনা ঢাকায় স্থানান্তর হয়।
ষাটের দশকের শুরুতে ফজলুল হক ‘প্রেসিডেন্ট’ নামে একটি শিশুতোষ সিনেমা তৈরি করেছিলেন যা তৎকালীন সময়ে পুরস্কৃতও হয়েছিল। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিতে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তার ছেলে ফরিদুর রেজা সাগর। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিটি যখন নির্মিত হয় তখন ঢাকায় প্রযোজিত সিনেমার সংখ্যা মাত্র কয়েকটি। পরে তিনি ‘উত্তরণ’ নামে আরো একটি সিনেমা পরিচালনা করেন।