যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মকদুম আলী (৫১) নিজের মুখের নিচে (থুতনিতে) ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে ক্যাম্পের ভেতরেই তিনি আত্মহত্যা করেন।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি(তদন্ত) সমীর কুমার সরকার ও বসুন্দিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ সনজিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত মকদুম আলী টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিলঅমুলা গ্রামের বাসিন্দা। দেড় মাস আগে তিনি বসুন্দিয়া ক্যাম্পে যোগ দেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, মকদুম আলী দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ নিয়ে অশান্তিতে ছিলেন। প্রায়ই ফোনে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতেন। বুধবার রাতে ক্যাম্পের পাশে মসজিদে গিয়েও তিনি ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করেন। আজ ভোরে ফজরের নামাজ শেষে ক্যাম্পে ফিরে নিজের অস্ত্র দিয়ে মুখের নিচে (থুতনি) ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার খবর শোনার পর থেকে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে পরিবারের সদস্যদের কান্না যেন থামছেই না। তার এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতম। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
নিহত মকদুম আলী টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বিল আমুলা গ্রামের মৃত হজরত আলীর ছেলে। দেড় মাস আগে তিনি বসুন্দিয়া ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন।