ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ফখর জামানের ডাবল সেঞ্চুরি করার দিনে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। দলটি জিম্বাবুয়েকে ২৪৪ রানে হারিয়েছে।
২০১৫ সালে পাকিস্তান আয়ারল্যান্ডকে ২৫৫ রানে হারিয়েছিল। সেটিই এখন পর্যন্ত তাদের বড় জয়।
পাকিস্তান এদিন আগে ব্যাট করে এক উইকেটে ৩৯৯ রান করে। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ১৫৫ রানে।
শুক্রবার ব্যাট করতে নেমে ৩০৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন ফখর-ইমাম। ওয়ানডেতে এটি সর্বাধিক রানের উদ্বোধনী জুটি। এর আগে থারাঙ্গা-জয়সুরিয়ার ২৮৬ রানের জুটি ছিল শীর্ষে।
রেকর্ড জুটির পথে ইমাম ফেরেন ১২২ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলে। সাজঘরে ফেরার সময় তার নামের পাশে ৮টি চারের মার। ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডেতে এসেই তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা।
পরে ওয়ানডে ক্রিকেটে অষ্টম ডাবল সেঞ্চুরি আসে ২৮ বছর বয়সী ফখরের ব্যাট থেকে। দ্বিশতক হাঁকানো বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেটার তিনি।
চার মেরে মাইলফলকে পৌঁছান ফখর। ১৪৮ বলে দ্বিশতক তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এ ওপেনার। ২৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৫৬ বলের ইনিংস তার।
ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার (২০০*)। সেটি ২০১০ সালে। ২০১৭ সালে আরেক ভারতীয় রোহিত শর্মার ডাবল ছিল আগের শেষটি। রোহিতের একারই ডাবল অবশ্য তিনটি, এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ ২৬৪ রানও তার।
এছাড়া নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল (২৩৭*), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (২১৫) এবং ভারতের বীরেন্দ্রর শেবাগের (২১৯) ওয়ানডেতে ডাবলের কীর্তি আছে।
ফখর-ইমামের দিনে শেষে ঝড় তুলেছিলেন আসিফ আলি। ২২ বলে ৫০ করে অপরাজিত থাকেন।
জবাব দিতে নেমে চিগুম্বুরা (৩৭) এবং ত্রিপানো (৪৪) একটু লড়াই করেন। ষষ্ট উইকেট জুটিতে দুজনে ৬৯ রান যোগ করেন। আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে না পারলে ৪২.৪ ওভারে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের লড়াই।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পরপর চারটিতেই বড় ব্যবধানে জিতল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচ ২২ জুলাই।