বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন অভিযোগ করে বলেছেন, মির্জা ফখরুলকে মুক্তি দিতে সরকার কালক্ষেপণ করছে। তার মুক্তিতে যতো বেশি দেরি করা হবে ততোই আদালতকে অবমাননা করা হবে। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যগত কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে শর্তসাপেক্ষে ছয় সপ্তাহের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এই সময়ের মধ্যে মির্জা ফখরুল চাইলে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে পারবেন। তবে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করতে হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের অবকাশকালীন বেঞ্চ ফখরুলের চিকিৎসা প্রতিবেদন দেখে এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০-দলীয় জোটের কর্মসূচির সময়ে বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার অভিযোগে ৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পল্টন ও মতিঝিল থানার ৩ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। আর পল্টন থানার আরও তিনটি মামলায় হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।
আসামিপক্ষ চিকিৎসা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন দিলে আপিল বিভাগ তা নাকচ করে দিয়ে পর পর দুবার ফখরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। সর্বশেষ দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ফখরুল ভাসকুলার রোগে আক্রান্ত। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
ফখরুলের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালত চিকিৎসার জন্য তাকে ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন। চিকিৎসার স্বার্থে আরও বেশি সময় প্রয়োজন হলে আদালত তা দেখবেন বলে আশা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রতিবেদন নিয়ে আদালতের কাছে আবারও হাজির হবেন তারা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জামিনে থাকার সময়ে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবে কিনা সে বিষয়ে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে তাকে আবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে আর কিছু করার সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
কারাবন্দী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ জুন হাইকোর্টের নির্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।