মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস, কিন্তু নখ কামড়ে রাখা পরিস্থিতিতে পড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা বাউন্ডারি হাঁকালে যেমন লাফিয়ে উঠেছিলেন বিরাট কোহলি-ডু প্লেসিসরা, তেমনি দিল্লি ভালো করলে হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন তারা।
স্নায়ুচাপের ম্যাচটি দেখতে টিম হোটেলকে মিনি স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলেছিল চ্যালেঞ্জার্সরা। নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটের হারে বিদায় নিয়েছে মোস্তাফিজের দল দিল্লি, তাদের হার নিশ্চিত হতেই উদ্দাম উদযাপনে মেতেছিল আরসিবি। এমন উদযাপন হবেই বা না কেনো, ম্যাচটি দিল্লি জিতে গেলে যে কপাল পুড়ত ডু প্লেসিসের দলের। সেটা হয়নি। মুম্বাই জেতার সাথে সাথে সুতোয় ঝুলতে থাকা ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে কোহলিদেরও, প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যায় আরসিবির।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে দিল্লির ম্যাচটি টিম হোটেলে বসে দেখছিলেন চ্যালেঞ্জার্স খেলোয়াড় ও স্টাফরা। আরসিবি তাদের অফিসিয়াল টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে মুম্বাইয়ের জয়ের পর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুরোটা ম্যাচে কড়া চোখ রাখছিলেন রিবাট-ম্যাক্সওয়েলরা। রিশভ পান্টদের হার নিশ্চিত হলে তারা মেতে ওঠেন উদযাপনে। একে-অন্যকে জড়িয়ে ধরে মাতেন আনন্দে।
আইপিএলে পরের পর্বে ওঠার লড়াইয়ে টেবিলের সেরা তিন আগেই দখলে রেখেছিল গুজরাট টাইটান্স, রাজস্থান রয়্যালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। বাকি থাকা চতুর্থ স্থান দখলের লড়াইয়ে দোলাচলের মধ্যে দিল্লির দিকে তাকিয়ে ছিল আরসিবি। মোস্তাফিজদের দলের ব্যর্থতায় আসে সেই সুযোগ। টানা তিন বছর প্রথম পর্বের বাধা পেরিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেয় বেঙ্গালুরু।
ভিডিওতে আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস বলেছেন, ‘সবাই এখানে খেলা শুরু হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। আমরা সবাই একসঙ্গে ম্যাচটি দেখেছি। মুম্বাইয়ের নেয়া প্রতিটি উইকেটের জন্য আমরা গলা ফাটিয়েছি। যখন তারা রানতাড়া করছিল, প্রতিটি বাউন্ডারির জন্য চিৎকার করেছি। শেষের উদযাপন এসবের একটি অংশের থেকেও বেশি দুর্দান্ত ছিল।’
মুম্বাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। ড্রেসিংরুমে আবেগঘন পরিবেশ, অবিশ্বাস্য ছিল। ধন্যবাদ মুম্বাই, আমরা তোমাদের অবদান মনে রাখব।’
মঙ্গলবার ২৪ মে টেবিলের শীর্ষে থাকা দু’দল গুজরাট ও রাজস্থান প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে হারলেও সুযোগ থাকবে দু’দলেরই।
রাজস্থানের সমান ১৮ পয়েন্ট তুলে রান রেটে পিছিয়ে পড়ে তিন নম্বরে রয়েছে লক্ষ্ণৌ। বুধবার একই ভেন্যুতে রাত ৮টায় এলিমিনেটরে তাদের প্রতিপক্ষ চার নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার আগামী ২৭ মে শুক্রবার রাত ৮ টায় আহমেদাবাদে হবে। যেখানে এলিমিনেটর জয়ী দলের প্রতিপক্ষ প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারা দল। জয়ী দল ২৯ মে আহমেবাদের ফাইনালের টিকেট কাটবে।