একইদিনে জোড়া সুসংবাদ। প্রথমবার আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ স্বীকৃতি পাওয়ার দিনে টি–টুয়েন্টি অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আসনে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে হতাশাজনক বোলিং পারফরম্যান্স ছাড়া গত দেড়-দুমাসে ব্যাটে-বলে দারুণ সময় কেটেছে সাকিবের। বাংলাদেশ দল পাচ্ছে সাফল্য, ব্যক্তিগত অর্জনে দিনকে দিন নিজেকেই ছাপিয়ে চলেছেন টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও।
সাকিব সেটির ফলও পাচ্ছেন নগদে নগদেই। বুধবার লাল-সবুজের তারকাকে জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড় তথা ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ ঘোষণা করেছে আইসিসি।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। এর আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে তিন সংস্করণেই দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। একটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। একটি টি-টুয়েন্টি ছাড়া সবকটিতেই জিতে ফেরে টাইগাররা।
জিম্বাবুয়েতে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল সময় কাটিয়ে ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজেও স্বমহিমায় জ্বলে ওঠেন সাকিব। হন সিরিজ সেরা। যে পারফরম্যান্স দিয়ে তিন বছর পর টি-টুয়েন্টির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলেন টাইগার তারকা।
বুধবার ছোট ফরম্যাটের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। তাতে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিকে টপকে গেছেন সাকিব।
অজি সিরিজে নামার আগে আফগান নবির থেকে পয়েন্টে অনেক পিছিয়ে ছিলেন সাকিব। সিরিজসেরা হওয়ার পথে ৩৪ পয়েন্ট যোগ করে শীর্ষে ফিরলেন। সাকিবের পাশে এখন ২৮৬ রেটিং পয়েন্ট, নবির ২৮৫।
টি-টুয়েন্টিতে শুধু ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫৩তম অবস্থানে আছেন সাকিব। আর শুধু বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে আছেন ১২তম অবস্থানে।
অজি সিরিজে সাকিব ব্যাটে আনেন ১১৪ রান, সঙ্গে ঝুলিতে জমান ৭ উইকেট। লঙ্কান মালিঙ্গার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে ঢুকে পড়েন। আর বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাটে একশ উইকেট ও হাজার বা তার বেশি রানের ডাবলের কীর্তি গড়েন।