বিকেএসপি থেকে: ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে ছিল বিসিবি একাদশ। কঠিন সময়ে ক্রিজে এসে জিম্বাবুয়ে বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছেন তানজিদ হাসান তামিম (১২৫*) ও আল-আমিন জুনিয়র (১০০*)। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে তুলেছেন ২১৯ রান। হার না মানা সেঞ্চুরির কীর্তি প্রয়াত দুই কোচকে উৎসর্গ করেছেন তারা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বুধবার জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। আল-আমিন তিনঅঙ্ক ছুঁতেই দুদলের ইচ্ছায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ম্যাচের ইতি টানেন আম্পায়াররা।
ম্যাচ শেষে দুই সেঞ্চুরিয়ানই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে আসা দলের সদস্য তানজিদ বললেন, ‘আমাদের জেলার (বগুড়া) কোচ মোসলেম উদ্দিন স্যর কিছুদিন আগে মারা গেছেন। এই সেঞ্চুরিটা ওনাকে উৎসর্গ করতে চাই।’
বিসিবি একাদশকে নেতৃত্ব দেয়া আল-আমিন তার সেঞ্চুরিটি উৎসর্গ করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সহকারী কোচ আব্দুল হাদী রতনকে, ‘আমি তার কাছে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট শিখেছি। চার বছর হল তিনি মারা গেছেন। সবসময় মিস করি রতন স্যরকে। তাকেই আমি সেঞ্চুরি উৎসর্গ করছি।’
এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার সাবেক ক্রিকেটার ও রাজশাহী বিভাগীর অনূর্ধ্ব-১৪ দলের কোচ মোসলেম উদ্দিন ৫৩ বছর বয়সে মারা যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৬৭ বছর বয়সে মারা যান আব্দুল হাদী রতন। তিনি বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হিসেবে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৯ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচও ছিলেন।