আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে আশা জেগেছিল অনায়াসে দুইশ পেরোনোর। কাগিসো রাবাদার জোড়া শিকারে শুরুর মতো শেষেও এলোমেলো বাংলাদেশ। ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাউথ আফ্রিকাকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে তামিম ইকবালের দল।
জোহানেসবার্গে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ৭২, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৮, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫ রান করেন।
প্রোটিয়া পেসার রাবাদা একাই নেন ৫ উইকেট। ১০ ওভারে দেন ৩৯ রান।
৩৪ রানে শুরুর ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষের ৩ উইকেট ৮ রানের মধ্যে হারালে রান তোলার গতি থেমে যায়। মাঝে দুটি জুটিতে গড়ে দুইশর কাছাকাছি যায় সফরকারীদের স্কোর।
দলের কঠিন বিপদে হাল ধরেন আফিফ। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর নেমে শুরু থেকেই তার ব্যাটে দেখা যায় আত্মবিশ্বাসের ছাপ। ৭৯ বলে সাত চারে ফিফটি পূর্ণ করেন। ৪৬তম ওভারে রাবাদার অফকাটারে পুল করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বল। বাভুমার ক্যাচ হলে ভাঙে ৮৬ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
১০৭ বলে ৯ চারে আফিফ করেন ৭২ রান। ওই ওভারেই মিরাজ মিডঅফে ক্যাচ তুলে দেন। শুরুর মতো শেষটাও বাংলাদেশের হয় হতাশার।
পঞ্চাশের আগে ৫ উইকেট পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন আফিফ। ইনিংসে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে খানিকটা লড়াই হয়েছে ওই দুটো জুটিতেই।
প্রোটিয়া পেস আক্রমণ সামলাতে শুরু থেকেই হিমশিম খায় বাংলাদেশ। ৭ বলের ব্যবধানে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে হারানোর পর লিটন দাসের ব্যাটে ভরসা খুঁজছিল দল। ইনফর্ম ব্যাটার রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ তুলে।
২১ বলে তিন চারে ১৫ রান করে যান লিটন। তামিম ১, সাকিব শূন্য রানে আউট হন। ২ রান করে ফেরেন ইয়াসির আলি চৌধুরী। মুশফিক ৩১ বলে খেলেন ১২ রানের ইনিংস। তাসকিন আহমেদ ৯ ও শরিফুল ইসলাম ২ রানে অপরাজিত থাকেন।