গেরিলা যোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, সার্টিফিকেটধারি মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, অমুক্তিযোদ্ধা, ভুয়ামুক্তিযোদ্ধা, দেশের অভ্যন্তরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত যোদ্ধা, ভারতে ট্রেনিং নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা, – মুক্তিযোদ্ধাদের সনাক্তকরণ বা শ্রেণীভুক্তকরণে এমন সব বিন্যাস আমরা প্রায়শই শুনতে পাই। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান “মুক্তিযোদ্ধাদের” এমনতর শ্রেনীবিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তেমন সুস্থ বিতর্কতো প্রাজ্ঞজনদের মধ্যে হতেই পারে, হামেশা তা হচ্ছেও।
“তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো! মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, …” -১৯৭১ এ উত্তাল বাঙালি যখন এই নির্দেশ পেয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো, তখন তো কেউ খাতা কলম নিয়ে যোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করতে বসেনি বা ভিডিও ক্যামেরা হাতে নিয়ে কে কতখানি যুদ্ধ করলো বা কে ফাঁকি দিলো, তার প্রমানচিত্রও ধারণ করে রাখেনি! যুদ্ধে তখন যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা তো সব দামাল ছেলে! কামার-কুমার, জেলে-মজুর, ছাত্র-যুবক, বেকার-ভবঘুরে, ভদ্র-অভদ্র, কুলিন-গোত্রহীন, -সকলে!
“যুদ্ধে যাওয়া”, এই কথাটির ব্যবহারিক অর্থ ১৯৭১ এর প্রেক্ষাপটে দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়া বুঝাতো। সেই সময়ে ভারতে যাওয়ার প্রধান কারণ যুদ্ধের ট্রেনিং ও অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ হলেও সকলেই যে সেই কারণেই ভারতে গিয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। অনেকেই জীবন বাঁচাতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আবার যুদ্ধ শেষে দেশ নিরাপদ হলে তারা ফিরে এসেছিলেন দেশে। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হলেও এই শ্রেণী কিন্তু যুদ্ধে অংশ নেননি।
তো বলছিলাম, ৭১ -এ “যুদ্ধে যাওয়া” সবাই যে যুদ্ধ করেছিলেন বা করা উচিত ছিলো, তেমন ভাবাটা কিন্তু ঠিক নয়। ধরা যাক, ট্রেনিং ক্যাম্পে যিনি নবীশ যোদ্ধাদের অস্ত্র চালনা শেখাতেন, তিনি যদি যুদ্ধের ময়দানে এসে যুদ্ধ করেন তো অস্ত্র চালনা শেখাবে কে? দেশের অভ্যন্তরে যে সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ছাত্র-যুবকদের উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করে ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্পে পাঠাচ্ছিলেন, তারা তো সংগঠক; যোদ্ধা নয়, ট্রেনিংও নেই তাদের, যুদ্ধ করবে কেমনে! স্বাধীন বাংলা বেতারের যেসব কন্ঠশিল্পীরা জাগরণের গানে সেদিন বাংলার আকাশ বাতাস কাঁপিয়েছিলেন, তাঁরা তো অন্য রকম যোদ্ধা, অস্ত্র হাতে নেয়ার দরকার পড়েনি।
যে সব নেতা-কর্মীরা (ভারতে বসে বা দেশের ভেতরে থেকে) মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক দর্শনের দিকটি দেখভাল করছিলেন বা যাঁরা প্রবাসি মুজিব নগর সরকারের সাথে যুক্ত ছিলেন, -তাঁরা যদি সে সব কাজ ছেড়ে রাইফেল হাতে যুদ্ধ করতে আসতেন, -তাহলে তো রাজনীতির গণেশটি উল্টে যেতে পারতো! সেদিনের সংগঠক, যোদ্ধা, ট্রেনার, রাজনৈতিক কর্মী, কন্ঠশিল্পী, প্রমুখ সকলের অবদানের সম্মিলনই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে তরান্বিত করেছিলো। এদের কারো অবদান কি লঘু ভাবা চলে? নাকি তা ভাবা উচিত?
তো সেদিন বাংলার একজন দামাল ছেলেকে গেরিলা যোদ্ধায় রূপান্তর করতে নেপথ্যে যারা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিলেন, তারা সকলেই আমাদের নমস্য! তা নিয়ে কোন তর্ক নয়। তবে জীবন বাজি রাখলো যে গেরিলা, দেশ-মায়ের সম্মান বাঁচাতে যে বুক পেতে দিলো ট্যাংকের গোলার সামনে, তাঁর ত্যাগ তো সর্বশ্রেষ্ঠ বিবেচনা করতেই হবে! সেদিন এই বীর যোদ্ধার এক হাতে ছিলো জীবন, আরেক হাতে ছিলো রাইফেল! পাকি দস্যুরা প্রতিটি বুলেট তাঁর মস্তক লক্ষ্য করেই ছুড়েছিলো সেদিন! এই বীরের জীবনটি যতখানি বিপন্ন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো, শব্দ সৈনিক, সংগঠক প্রমুখের জীবন তো ততটা বিপন্ন ছিলো না। সংগত কারণেই আজকে এই বীর গেরিলার জন্যে সবিশেষ মর্যাদার আসনটি সংরক্ষণ রাখা চাইই চাই। তাঁকে তো অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলা চলবে না।
মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি “মুক্তি” আর “যোদ্ধা”, এই দুটি শব্দের সম্মিলনে মিলেমিশে একাকার। শব্দের “মুক্তি” অংশটি রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ আর “যোদ্ধা” অংশটি বীরত্বে পরিপূর্ণ। আমাদের অতি আবেগের, অশেষ গর্বের, চির দ্রোহের শব্দ “মুক্তিযোদ্ধা”। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে যখন সামনে পাই, তখন চট করে আমাদের কল্পনায় ঐ মানুষটিকে আমরা ৭১ এ ফিরিয়ে নিয়ে যাই। মনের মাধুরি দিয়ে তাঁর বীরগাঁথাগুলোকে একের পর এক সাজাই। একজন মুক্তিযোদ্ধার কল্পিত চেহারা কি এমন হতে পারে যে, তিনি ৭১’এ যুদ্ধটুদ্ধ করেন নি?
না, যুদ্ধহীন মুক্তিযোদ্ধা আমাদের কল্পনায় আসে না। একজন মুক্তিযোদ্ধার কল্পচিত্র আমাদের কাছে এরকম যে, তাঁর মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, পরনে কাঁছা দেওয়া লুঙ্গি, গায়ে ছেড়া গেঞ্জি, ডান হাতে লোডেড রাইফেল, বাঁ হাতে চাবিখোলা উন্মুক্ত গ্রেনেড, গলা সমান জলে কচুরিপানা ঠেলে ঠেলে সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে নি:শব্দে পাক হানাদারদের ক্যাম্পের দিকে এগুচ্ছেন! ঐ যোদ্ধাকে নিয়ে আমরা ভাবনার চোখে আরো দেখি, এক সময়ে তাঁর পেশিবহুল বাম হাত ছুড়ে দিলো গ্রেনেডটি, গর্জে উঠলো তাঁর রাইফেল! পাকি ক্যাম্পের কুপোকাত! বিজয়ী এই বীর তখন মৃত পাকসেনাদের গায়ে থুথু ছিটিয়ে জ্যান্ত একজন পাকিকেও যেন ধরে এনেছে! মুক্তিযোদ্ধা বলতে তেমনই তো ভাবি আমরা, তাই না?
কিছু আগেই বলেছি, যাঁরা এমন করে গেরিলা যুদ্ধ করতে পারেন নি বা করেন নি, অথবা যাঁরা আমাদের এই গেরিলাকে তৈরি করেছিলেন বা সহযোগি ছিলেন, -তাঁরা অতি অবশ্যই নমস্য। আমাদের মস্তক নত তাঁদের পাদপিঠে! কিন্তু ঐ জীবন বাজি রাখা গেরিলার জন্য আমাদের অন্তরে একটি বিশেষ আসন আছে। আসনটি অন্য রকমের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় রঞ্জিত! প্রতিদিন আসনটি ঝেড়েমুছে তকতকে করে রাখছি। যখনই একজন গেরিলাকে সামনে পাবো, তাঁকে জাপটে ধরে নিয়ে ঐ আসনে বসিয়ে তাঁর অত্যুজ্জল মুখখানা দেখে নয়ন-মন সার্থক করবো! যাঁরা ঐ আসনের যোগ্য নন, তাঁরা আসনটির দিকে পা বাড়াবেন না, প্লিজ!
কার সার্টিফিকেট আছে, কে সরকারি তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা, কে খেতাবধারী বা কার নাম তালিকায় খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না অথবা যাচ্ছে, -সেটা নিয়ে আমাদের মাথায় বিশেষ ব্যথা নেই। আমরা বুঝতে চাই ৭১ -এ আপনি যুদ্ধটা করেছিলেন কিনা? সেদিনের সাড়ে সাতকোটি বাঙালির মধ্যে কম করে হলেও অন্তত সোয়া সাতকোটিই মুক্তির সপক্ষে ছিলেন। সবাই মিলেই সেদিন দেশটাকে শত্রুমুক্ত করেছিলো। তবে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐ গেরিলাজনেরা! এ সত্য মানতে কারো যদি অসুবিধা হয়, তো তার জন্যে পাত্র ভরে ‘করুণা’ জমা করে রেখেছি! সুযোগ মত এসে বিনামূল্যে পান করে যাবেন!
আজকের সমাজে “মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা “বাড়তি সুবিধা” পাওয়ার টুলস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকেই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন, কার কমান্ডে, বা কোন সেক্টরে ছিলেন, -এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর নেই। আর কোন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, -এটা জানতে চাইলে তাঁরা পালিয়ে বাঁচেন!
দেখুন জনাব, বিনীতভাবে বলছি, বেয়াদবি নেবেন না। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের একনিষ্ঠ সহায়ক-সমর্থক ছিলেন, যুদ্ধ করতে বাড়ি ছেড়ে ভারতে গিয়েছিলেনও, হয়তো ট্রেনিংও নিয়েছিলেন অথবা ভারতে গিয়েছিলেন কিন্তু ট্রেনিং নেবার মত যথেষ্ট বয়স আপনার তখন ছিলো না, বা দেশের অভ্যন্তরে থেকেই যোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন, -এমনতর নানা সংগত কারণে যারা সেদিন অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে পারেন নি, -তাঁরা অনুগ্রহ করে ঝেড়ে কাশেন। আজকের প্রজন্মকে এমন ধারনা (ইমপ্রেশন) দেবেন না যে, আপনি একজন বীর-মুক্তিযোদ্ধা!
বীর শব্দটির সাথে যুদ্ধে বীরত্ব দেখানোর ব্যাপারটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। “বীর মুক্তিযোদ্ধা” কথাটি নিয়ে তামাশা করবেন না। যাঁদের জন্ম হয়নি একাত্তরে, অথবা যারা যুদ্ধে আপনার প্রকৃত সম্পৃক্ততা জানে না, তারাতো আপনার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি শুনে “গেরিলা” ঠাউরে বসে আছে। তারাতো মুক্তিযোদ্ধা বলতে “অস্ত্র হাতে গেরিলা যোদ্ধাকেই” বোঝে। কিন্তু আপনি তো তা নন! ওরাতো ভুল বার্তা বুঝছে!
ডিসেম্বর মাস এসেছে, দেশে-প্রবাসে বিজয়ের মাসে নানা অনুষ্ঠানে কৃতজ্ঞ জাতি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই স্মরণযোগ্য এবং সম্বোর্ধিত হতেই পারেন। তবে আয়োজকেরা যেন একটু খোঁজখবর করেন যেন তারা মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শাখার কর্মীদের শব্দ সৈনিক অথবা সাংগঠনিক শাখার কর্মীদের গেরিলা বিবেচনা করে ভুল ভাবে সম্মানিত করে না ফেলেন।
এমন একটি বাস্তব ঘটনা বলি তবে,-। কয়েক বছর আগে টরন্টোতে নতুন প্রজন্মের একটি সংগঠন প্রবাসি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধিত করার উদ্যোগ নেয়। তাদের এ উদ্যোগ বিপুল সাড়া জাগায় এবং প্রশংসিত হয়। ওরা সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করে প্রচারবিমুখ যোদ্ধাদের খুঁজে খুঁজে এনে সম্মাননা দিয়েছিলো। দেখা গেল সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার একজন আসামীকে এক কাতারে মঞ্চে দাঁড় করিয়ে তাঁকেও ‘মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয়ে সম্বর্ধনা দিয়ে ফেললো!
হুলুস্থুল ব্যাপার! সভায় উপস্থিত একজন মুক্তিযোদ্ধা সুনির্দিষ্টভাবে এ ভ্রান্তি নিয়ে আয়োজক সংগঠনের কর্তাদের কাছে চেঁচিয়ে চেঁচিয়েই নালিশ জানালেন। সভাস্থলের সুধিজনেরাও কেউ কেউ এই নবীন বয়সের আয়োজকদের বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন সেদিন যে, আগরতলা মামলার আসামীকে অন্যভাবে সম্মানিত করা যেতেই পারে, তবে মুক্তিযোদ্ধা নন তিনি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি, নবীন সংগঠকেরা অনেকটা তারুণ্যের বেয়াড়াপনায় “যা করেছি ঠিক করেছি” ধরণের অবস্থান নিলো। ফলাফল যা হবার তাই হলো, আগরতলা মামলার আসামী (অন্তত সেদিনের জন্য) মুক্তিযোদ্ধা বনে গেলেন! জানা মতে ঐ সংগঠনটি এহেন গর্হিত কাজের জন্য পরবর্তী সময়ে কখনও দুঃখ প্রকাশ করেনি। পরিতাপের বিষয় যে, ওরা নবীন প্রজন্মের হলেও “ভুল স্বীকারের সংস্কৃতিতে” অনভ্যস্থ!
যাক ওদের কথা, এ নিবন্ধের শব্দ সংখ্যা আর বাড়ানো চলে না। বলছিলাম যে, আজকের প্রজন্ম কিন্তু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে “যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের” গলায়ই পুস্পমাল্য পরাতে চায়। তাদের অন্তর্নিহিত বাসনা কিন্তু তাই। ওরা যদি না জেনে বা ভুল বুঝে অথবা প্ররোচিত হয়ে কাউকে “যোদ্ধা” বিবেচনায় বরণের উদ্যোগ নেয়, তো তিনি (যদি যুদ্ধ না করে থাকেন) ওদের ভুলটি ভাঙ্গানোর মহত্বটা দেখান না প্লিজ! ওদের বলুন যে, আপনি ঠিক যুদ্ধটা করেন নি সেদিন, সহায়ক শক্তি ছিলেন, সাথে ছিলেন! আর কে সেদিন যুদ্ধ করেছিলো, আপনিতো তাকে জানেন। আজকের প্রজন্মকে সেই যোদ্ধার বীরগাঁথা বলুন না, ওরা তাঁর গলায়ই মালাটি পরিয়ে দিক! তাতে আপনার কোন লোকসান নেই, খামতি পড়বে না কিছুতে। ৭১ -এ আপনার অবদানের জন্য আমাদের মনের গহীনে শ্রদ্ধাটুকু আলাদা করেই রেখেছি আমরা! অহেতুক “বীর” বা “গেরিলা” বানানোর দরকারটা কি? সততার সাথে আজকের প্রজন্মকে বলে দিন না, “এ মণিহার আমায় নাহি সাজে”!
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)