চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রীতি ম্যাচই এখন ভরসা তাদের

দলের অধিকাংশই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। অনেকে আবার দেশের হয়ে খেলেছেন টেস্ট। আন্তর্জাতিক কিংবা বিভাগীয় স্টেডিয়াম ছাড়া যাদের পা পড়ে না, সেই তারকারা যাচ্ছেন ফরিদপুর জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচ খেলতে।

করোনাকাল অনেক নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। তার মধ্যে এটিও একটি। দুটি টি-টুয়েন্টি খেলতে শুক্রবার ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাবেন নাঈম ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, মার্শাল আইয়ুব, সোহরাওয়ার্দী শুভ, জুবায়ের হোসেন লিখন, ইলিয়াস সানি, তানভীর হায়দার, আলাউদ্দিন বাবুরা।

১৪ সদস্যের স্কোয়াডে আরও আছেন মেহেদী হাসান রানা, সৈকত আলি, জসিম উদ্দিন, কাজী কামরুল, সায়েম চৌধুরী ও মহিউদ্দিন মাহমুদ। কোচের দায়িত্বে হুয়ায়ুন কবির শাহীন।

ম্যাচের আয়োজক বাংলাদেশ দলের সাবেক তারকা পেসার তালহা জুবায়েরের বড় ভাই নাজমুস সাকিব তন্ময়। তার আমন্ত্রণেই ফরিদপুর খেলতে যাচ্ছে ঢাকার দলটি। প্রতিপক্ষ ফরিদপুর ক্রিকেট একাডেমি। আরাফাত সানি প্রতিনিধিত্ব করবেন স্বাগতিক দলটিকে। শনিবার সকাল ও দুপুরে দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে রাতেই ঢাকায় ফিরে আসবেন নাঈম-শামসুর-মার্শালরা।

ছয় মাস ঘরে বসে থাকার পর মিরপুর ১২ নম্বরে শাহীনের ব্যক্তিগত একাডেমিতে অনুশীলন শুরু করেন ক্রিকেটাররা। গত সপ্তাহে সিটি ক্লাব মাঠে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচেও অংশ নেন তারা। আরেকটু বড় পরিসরে ম্যাচ খেলার তাড়না অনুভব করছিলেন সবাই। যে কারণে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। ঢাকার দলটি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাশে পেয়েছে জে’এডউব স্পোর্টসকে।

এনামুল হক জুনিয়র ঢাকার দলটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সিলেটে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য। সেটিও হতে পারে শুভ-লিখনদের ফরিদপুর মিশন শেষে। বিসিবি জাতীয় দলের ভাবনায় যাদের রেখেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অংশ নেয়ার। তিন দলে প্রায় ৫০ জনের মতো খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছে প্রেসিডেন্টস কাপে।

বিসিবি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঘরোয়া লিগ শুরুর করার। জানুয়ারিতে হতে পারে গত মার্চে স্থগিত হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সেটি সম্ভব না হলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও শুরু হয়ে যেতে পারে। ক্রিকেটাররা মনে করেন আজ হোক কাল হোক ঘরোয়া ক্রিকেট ফিরবেই। যে কারণে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে ম্যাচ খেলার উপায় বের করছেন পেশাদার ক্রিকেটাররা।

ঢাকা বিভাগীয় দলের সহকারী কোচ শাহীন চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘অফ সিজনে অনেক ক্রিকেটারই আমার সঙ্গে কাজ করে। করোনার জন্য যেহেতু বিসিবিতে সবার সুযোগ হচ্ছে না, তাদেরকে নিয়ে বেশি সময় দিচ্ছি। সবার বিশ্বাস আছে কঠিন সময় পার করে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হবে। যে কারণে তারা ম্যাচ খেলে নিজেদের প্রস্তুত রাখছে।’

‘১৫ জনের জন্য তিনটি বড় মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে। দূরত্ব বজায় রেখেই আমরা সেখানে যাবো। ফরিদপুর গিয়ে সার্কিট হাউজে থাকব। খেলার মধ্যে ড্রেসিংরুমে বাইরের কারো প্রবেশাধিকার থাকবে না। করোনার জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা যায়, আমরা করবো। আয়োজকরা এ ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। কোনো ধরনের ঝুঁকির মুখে আমাদের তারা ফেলবে না।’

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ফিরেছে ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে রেখে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে একটি টুর্নামেন্ট হয়েছে বায়ো বাবল ছাড়াই। শুভদের প্রীতি ম্যাচও হবে সেভাবে।

ম্যাচ খেলার ক্ষুধাই সাহসী করে তুলেছে সবাইকে। এতদিন পর এটুকু ঝুঁকি না নিলে ম্যাচের চাপ কীভাবে বহন করতে হয় তা ভুলে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে। করোনা বিরতি কাটিয়ে মিরপুরে এত অনুশীলনের পরও জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের যে দশা, তা দেখে কী করে ঘরে বসে থাকবেন মাঠে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটাররা!