চলমান রোহিঙ্গা সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তার ভূয়শী প্রশংসা করে তাকে চিঠি দিয়েছেন ৯ জন মার্কিন সিনেটর।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ‘সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ জনগনকে’ রক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এ কঠিন ও জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিনেটররা।
মঙ্গলবার পাঠানো ৯ জন মার্কিন সিনেটরের চিঠির একটি কপি সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমদু আলী।
চিঠিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিনেটরগণ লিখেছেন: বার্মায় ভয়াবহ সহিংসতার ফলে পালিয়ে আসা অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া এবং তাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য আপনার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং সমবেদনার জন্য আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের নিরাপত্তা এবং আশ্রয়ের নিশ্চয়তা প্রদানে আপনার সরকারের অসাধারণ উদারতা একটি বাতিঘর এবং উন্মুক্ত এ সঙ্কট বিশ্ব দেখছে।
বাংলাদেশের এ প্রচেষ্টা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তারা বলেছেন: আমরা জানি যে বাংলাদেশের জন্য এ চ্যালেঞ্জ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ সহিংসতার ফলে সহায়তার জন্য পালিয়ে আসা মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন জানানো অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য নতুন করে আসা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে করা কাজকে প্রশংসা করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরও লিখেছেন, আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউএনএইচসিআরসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আপনার সরকার এ জটিল কাজ (নিবন্ধন) এগিয়ে নেবে।
বার্মায় সহিংসতা বন্ধ এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার ভাষণকেও বিশেষভাবে স্বাগত জানিয়েছেন সিনেটররা।