শেষ সময়ে চলছে বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি। দিনরাত কাজ করছেন মেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট লোকজন। কেউ ভবন নিমার্ণ আর কেউ রাস্তা, শৌচাগার, মসজিদ নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন। পুরো মাঠজুড়ে দেখা গেছে শ্রমিকদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সরেজমিনে বাণিজ্য মেলার মাঠে এই চিত্র দেখা গেছে।
মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ওয়াসা, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে সবার আগে বাণিজ্য সচিবালয় নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেখানে কর্মরত শ্রমিকেরা জানিয়েছে এর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২/১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে মেলার সদস্য সচিব আব্দুর রউফ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: বাণিজ্য মেলার অবকাঠামোসহ প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন: মেলায় এবার ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আরামে চলাচল করতে পারবেন। স্টল-প্যাভিলিয়নের মাঝে যথেষ্ট জায়গা খালি রাখা হয়েছে। এছাড়া এবার নতুন হিসেবে অর্কিড কর্ণার থাকবে। আগামী ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মেলার উদ্বোধন করবেন বলে জানান আব্দুর রউফ।
দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এবারের বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটককে সাজানো হচ্ছে স্মৃতিসৌধের আদলে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় গণপূর্ত বিভাগ এ কাজটি করছে।
এছাড়া ভিআইপি ফটকে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আদলে একটি প্রতিকৃতি।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্যাভিলিয়ন, সাধারণ প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের সংখ্যা থাকবে ৫০০টি। গত বছর স্টল সংখ্যা ছিল ৫৫০টি। গত বছর ২৫০টি সাধারণ স্টল থাকলেও এবছর তা কমিয়ে করা হয়েছে ৫০টি। বিদেশিদের দেয়া হয়েছে মোট ৫৫টি। এছাড়া মেলায় কয়েকটি ব্যাংকের বুথ স্থাপনসহ ও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে।
ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা যেন সহজে নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন খুঁজে বের করতে পারেন সেজন্য থাকবে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তি)।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মত মেলায় দুটি মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, একটি মেডিক্যাল সেন্টার ও ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ থাকবে। বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি। মাঠজুড়ে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। একইসঙ্গে মেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকবে।
জানা গেছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি পর্দা উঠবে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ)। ওইদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।