তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পর দল আরও আত্মবিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন ইমরুল কায়েস। ম্যাচের বেশ আগেভাগে সাউথ আফ্রিকায় পৌঁছে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারায় ইমরুল সুবিধাও দেখছেন।
‘নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে পা রাখাটা কাজে লেগেছে। একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই প্রস্তুতি হয়েছে। সবার আত্মবিশ্বাসটাও ভালো।’ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন ইমরুল।
পচেফস্ট্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট এখানে শুরু হবে ৬ অক্টোবর। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এখানেই খেলেছিল সিরিজের প্রথম টেস্ট।
সাউথ আফ্রিকার উইকেট বরাবর পেস সহায়ক। বাড়তি গতির সঙ্গে চোখ রাঙায় ফণা তোলা বাউন্স। নেটে তাই শর্টবল আর বাউন্সের সঙ্গে চলছে নিয়মিত কসরত। তাতে কেউ কেউ আহতও হচ্ছেন। নেট ব্যাটিংয়ের এমন পরিস্থিতিতে ইমরুল অবশ্য এতটুকু চিন্তিত নন।
‘দেখুন নেট এবং ম্যাচ আসলে দুটো দুই রকম জিনিস। নেটে বোলাররা অনেক রকমভাবে বল করতে পারে। কিন্তু মাঠে আবার তাদের মাঝেই ভয় কাজ করে। সেখানে ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। ম্যাচে উইকেটও ভিন্ন থাকে। দুটো পুরোপুরি ভিন্ন বিষয়।’
প্রস্তুতি ম্যাচে দুই ইনিংসে এক ফিফটিসহ ইমরুলের রান ৮৫। নিজের এমন প্রস্তুতিতে তাকে খুশিই মনে হল, ‘আসলে যেখানেই করি, রান পাওয়াটাই আসল কথা। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সেটা বাংলাদেশেই বলেন অথবা সাউথ আফ্রিকায়। রান করলেই আত্মবিশ্বাসী লাগে।’