বৃহস্পতিবার এসএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর শনিবার দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রমাণসহ খবর বেরিয়েছে। অথচ এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে এবার সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রথমদিন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি বলেছিলেন, সব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। তারপরও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণ হলে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। যারা ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের রক্ষা নেই। গত কয়েক বছর ধরেই এসএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা শুরু আগ থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে আসছে। শিক্ষামন্ত্রীর এই কথা শুধুমাত্র ‘কথার কথা’ হিসেবেই প্রতিবছর দেখতে পাচ্ছে দেশের মানুষ। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার সব শিক্ষার্থীকে সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সামনে প্রশ্নপত্রের সিলমোহর যুক্ত খাম খোলার নিয়মও করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই প্রশ্নফাঁসের মতো ঘৃণিত অপরাধ। সিলমোহর যুক্ত করার আগেই হয়তো ওইসব প্রশ্নপত্র চলে গেছে অপরাধীদের হাতে এবং সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রকাশ্যে বিতরণও হয়েছে। বিষয়টি খুবই চিন্তার বলে আমরা মনে করি। দেশের বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় একসময় নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার গণঅসুখ থাকলেও বর্তমানে প্রশ্নফাঁস মহামারি আকার ধারণ করেছে। তা ক্রমেই জাতির জ্ঞানবিকাশ ও মেধা ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠছে। বিষয়টি সর্ম্পকে বিভিন্ন মহলের কার্যকরী মনোযোগ ও পরিকল্পনা সহকারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।