দেশের কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা এবং সক্ষমতা বাড়ায় গত বছর দেশ থেকে বিদেশে দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী রপ্তানি বেড়েছে। জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি বলছে, প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করলে জনশক্তি রপ্তানি বাড়বে।
বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি অভিবাসী বিদেশে কর্মরত হলেও তাদের বেশিরভাগ অদক্ষ। কঠোর পরিশ্রম করেও তারা বেশি আয় করতে পারেন না। বছর শেষে বেতনও বাড়ে কম। বিদেশে দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী বেশি পাঠাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশ জুড়ে ৭০টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হয়। চট্টগ্রামের কোরিয়া-বাংলাদেশ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এমনি একটি। এখানে ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিংসহ ১৫টি টেকনিক্যাল কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এসব কেন্দ্রের পাশাপাশি বিদেশ যাবার আগে কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে ৩ দিনের প্রাক-যাত্রা প্রশিক্ষণ। দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাড়ায় জনশক্তি রপ্তানিকারকরা বিদেশে কর্মী পাঠানোর আগে এসব কেন্দ্রে প্রশিক্ষণে পাঠাচ্ছে কর্মীদের।
জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি জানায়, ২০১৫ সালে যেখানে দক্ষ জনশক্তি গিয়েছিলো ২ লাখ ১৪ হাজার, ২০১৬ সালে গেছে ৩ লাখ ১৮ হাজার। তবে আধা দক্ষ কর্মী পাঠানোর পরিমাণ খুব বেশি বাড়েনি। বাড়েনি পেশাজীবী অভিবাসীর সংখ্যাও।
বিএমইটি ও জনশক্তি রপ্তানিকারকরা মনে করে, বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই যদি কর্মীদের প্রশিক্ষণ নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয় তবে দক্ষ কর্মী রপ্তানি অনেক বাড়বে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: