চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘প্রযুক্তির এই যুগে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

‘গণমাধ্যম, প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা – ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটরিয়ামের সেমিনার কক্ষে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান করা উদ্বোধন হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যায় জীবনে তাদের সার্বিক মঙ্গল ও সফলতা কামনা করেন।

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক জীবনের গন্ডি পেরিয়েছো প্রকৃতপক্ষে পড়াশোনার সময় কেবল তোমদের শুরু হয়েছে। এখানে পড়াশুনা করেছো শুধু পাশ করার জন্য, এরপর পড়াশুনা শুরু হবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য। যেকোন পেশায় উজ্জ্বল ভবিষৎ গড়তে হলে অনেক পড়াশুনা করতে হয়। সাংবাদিকতায়ও ভালো করতে হলে পড়াশুনার বিকল্প নেই।

সাংবাদিকতা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর উদ্দেশে জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, সাবাদিকতার ছাত্রদের অবশ্যই তথ্য সমৃদ্ধ হতে হবে। কর্ম জীবনে সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে যাচাই বাছাই ছাড়া কোন তথ্য প্রকাশ বা শেয়ার দেয়া যাবে না। ভুল তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়। একটি তথ্য সারা জীবনের বর্জ্য, নানা কারণে রিউমার ছড়ানো হয়, তাই এ ব্যাপারে সাবধানী হতে হবে। সত্য না জানলে চুপ থাকতে হবে, কিন্তু মিথ্যা বলা যাবে না।

সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ব্যবহার ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তি এসে সাংবাদিকতার পুরো ধরণটাই চেঞ্জ করে দিয়েছে। বর্তমানে যে সাংবাকিতার ধরণ এখন চলছে আগামী দশ বছর পর সাংবাদিকতার এ ধরণও থাকবে না। এখন আর কাগজ কলমে সংবাদ লিখতে হয় না। প্রযুক্তি আমাদের একসময় এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যা কল্পনাতীত।

বিভাগের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান।

অধ্যাপক কামরুল আহছান বলেন, মাত্র চারজন শিক্ষক নিয়ে বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। আজ বিভাগটি প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিভাগের এই তরুণ শিক্ষকদের পরিশ্রম ও আপ্রাণ চেষ্টা বিভাগে কোন সেশনজট তৈরি হতে দেয়নি, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি নেচারের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি তথ্যসমৃদ্ধ থাকেন। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। তথ্য সমৃদ্ধতার কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে।

পরে বিভাগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।