যুক্তরাজ্য সফরে প্রবাসী নেতা-কর্মীদের জন্য রাজশাহীর বিখ্যাত আমসহ মৌসুমি ফল নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লন্ডনে পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে এখন এ নিয়ে আলোচনা। তারা বলছেন, এই হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
‘ঠিক যেমন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দেশের মানুষদের ভালোবাসতেন, যেমন তার কাছ থেকে কেউ কোনোদিন নিরাশ হয়ে ফেরেননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঠিক তার পিতার মতোই হয়েছেন,’ বলছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
শুধু আনোয়ারুজ্জামান নন, এমন কথা লন্ডনে থাকা সব নেতাকর্মীর। দলীয় পরিচয়ের বাইরে কমিউনিটির সাধারণ বাঙালিরাও কর্মীদের জন্য শেখ হাসিনার সবসময় এমন যত্নবান থাকার খবরে মুগ্ধ।
তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেনো মধুমাসই লন্ডনে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। কারণ প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে যাওয়ার সময় নিয়ে যান রাজশাহীর বিখ্যাত সব আম।
‘কতোটা মমতাময়ী হলে একজন প্রধানমন্ত্রী তার দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য এতোটা ভালবাসা রাখেন! আমরা তার স্নেহ আর মমতায় উদ্ভাসিত,’ বলছিলেন নতুন প্রজন্মের এক কর্মী।
প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে পৌঁছার পর দেখা করতে আসেন তার ভাগ্নি ও নবনির্বাচিত ব্রিটিশ এম.পি টিউলিপ সিদ্দিক। পরে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চোখের পরীক্ষা করান তিনি।
হোটেলে ফেরার পর টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু সময় কথা হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পরদিন সকালে তিনি আরেক দফা মেডিকেল চেকআপ করান।
রোববার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় ‘দি পার্ক লেন’ হোটেলের বলরুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি সফলভাবে কার্যকরের জন্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ প্রবাসীরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী।
১৮ জুন শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।