ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়ায় বিতর্ক অবসানে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ না করলে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ভূমিকা রাখতে পারেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া এই রায় কোন সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেনি উল্লেখ করে অপ্রাসঙ্গিক সকল পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারে রায় পুনর্বিবেচনাসহ সংসদে আলোচনার পর সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা-সমালোচনাসহ সরকারের অবস্থানের কথা তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদে মূলত: অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়: ‘প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে প্রধান বিচারপতি তাঁহার দায়িত্বপালনে অসমর্থ বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে ক্ষেত্রমত অন্য কোন ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যভার পুনরায় গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপীল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করিবেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে বিতর্কিত করে সামরিক শাসনের জঞ্জালকে টেনে আনার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। এটা কোনভাবেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয় নয়।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংবিধানের অভিভাবক, কিন্তু জনগণের অভিভাবক নয়। এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।