চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি যা বলছে

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

তারা বলছেন: প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবার তাদের ধন্যবাদ দেয়ার নামে তামাশা করছেন। একইসঙ্গে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়ার আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে সংলাপ করার আহবান জানিয়েছেন তারা।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার সম্পূর্ণরূপে কেড়ে নিয়ে জনগণকেই আবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এটা জনগণের সঙ্গে বড় ধরণের তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন: প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না। সেজন্য তার এই ভাষণের প্রতি জনগণের কোনো রকম আস্থা নেই। জাতীয় ঐক্যের ডাক না দিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ডাক দেওয়া উচিত ছিল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন: প্রধানমন্ত্রী তার নিজেরটা নিজে বলেছেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন: আমি একটা অনুষ্ঠানে আছি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পারিনি। এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বলেন: প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু রাতের আধারে ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার বিষয়টি বলেননি। আর সারাদিন ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট কাটা, বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে না দেওয়া, ভোটের আগে বিরোধী পক্ষকে পোস্টার লাগাতে না দেওয়া, হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার ও মামলা হামলার বিষয়টিও ভাষণে উল্লেখ করা উচিত ছিল।

জাতীয় ঐক্যের ডাকের আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে সংলাপ করার আহবান জানান জাসদের এই নেতা।

নাগরিক ঐক্য’র আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ব্যস্ততার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই ভাষণে তিনি নিজ দল আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কারণ যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনি বিএনপির পরাজয়ের কারণও বর্ণনা করেছেন।

এসময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।