চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা নেতিবাচক রাজনৈতিক মনোভাব: কাদের

প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণে সাড়া না দিলে বিএনপি আবারো তাদের নেতিবাচক রাজনৈতিক ধারার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ধানমন্ডি-৩ দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিং এ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘চাইলে চায়ের টেবিলেই ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রাজনৈতিক আলাপ সারতে পারবেন।’

কাদের বলেন: প্রধানমন্ত্রী যে চা চক্রের অায়োজন করেছেন বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট সেখানে খোলামেলা আলাপ করতে পারেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আহ্বান বর্জন করেছেন এটা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।

তিনি বলেন: সংসদ বর্জন করা দলের জন্য ক্ষতিকর। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে, রাজনীতিতে জোড়ার ভাটা আছে। নির্বাচনোত্তর যে পরিস্থিতি, সংসদ বর্জনের যে সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট- বিএনপি এ ধরনের অগণতান্ত্রিক মানষিকতার প্রকাশ ঘটায় সেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়, তাদের নিজের অস্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর। গত সংসদে না থেকেও নির্বাচনে তারা যতটুকু বিজয়ের অংশীদার হয়েছে এটা নিয়েই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদের ভেতর বাহির দুই ক্ষেত্রে আন্দোলন করা যায়। তারা সংসদে গেলে বিরোধী কণ্ঠ উচ্চারিত হবে।

মানুষ আন্দোলনের আগ্রহী নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি জনগণের সাড়া জাগানোর মত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি আন্দোলনের বিরাজ করছে না। যে অবজেক্টিভ কন্ডিশন তাদের আন্দোলনে সাফল্য এনে দিতে পারে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, পিপলস যদি রেসপন্স না করে সাফল্য আসবে না।

কাদের বলেন: বিএনপি- ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন সদস্য সংসদে গিয়ে জোরালো ভাষায় কথা বলে সংসদের ভিতরে যুক্তিতর্ক দিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে। এই নির্বাচনের পর বিশ্ব উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্যে তাদের চিঠি দিয়ে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে। বিএনপি যদি এ অবস্থাতেও সংসদ বর্জনের সাংস্কৃতিক ধরে তাহলে তারা আরও বড় ভুল করবে। বিদেশেও তাদের বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিদেশে তাদের বন্ধু বলে কেউ থাকবে না।

এসময় ডাকসু নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা বলেন, অতীতে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ছিল হলগুলোতে। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।