দলীয় বিদ্রোহে সদ্য প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ম্যালকম টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
পার্লামেন্টে দলীয় কোন্দলে গত সপ্তাহে ক্ষমতা হারান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়া হয় তারই ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্কট মরিসনকে।
এই কোন্দলের ফলে মধ্য-ডানপন্থি সরকার ভেতরে ভেতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছিল বলে মনে করছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
নিজ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ম্যালকম টার্নবুল তার পূর্বসূরি টনি অ্যাবটের দিকে পরোক্ষভাবে আঙ্গুল তুলে বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের পার্লামেন্টের মধ্যে নয়, বাইরে থাকাটাই উত্তম। এবং আমার মনে হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী আমার এই পর্যবেক্ষণের পক্ষে প্রমাণ দেয়।’
টনি অ্যাবটের বিরুদ্ধে সরকারকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ রয়েছে।
তবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল পার্লামেন্ট থেকেও সরে যাওয়াটা সরকারের বিপদ আরও বাড়াবে। কেননা এর ফলে পার্লামেন্ট বাধ্য হবে উপনির্বাচন আয়োজন করতে। আর সেই নির্বাচনে মরিসনের দল বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে না-ও রাখতে পারে।
টার্নবুলের জয় পাওয়া ওয়েন্টওয়ার্থের আসনটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই রক্ষণশীল লিবারেল পার্টির দখল। কিন্তু টার্নবুল সরে গেলে সেখানে যে পরেও বর্তমান সরকারই জয় পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করছেন অনেকে।
টার্নবুলকে ছাড়া স্কট মরিসনের সরকারের কাছে সরকারের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের বাকি মোট ১৪৯টি আসনের মধ্যে ৭৫টি আসন থাকবে।
অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, টার্নবুলের অনুপস্থিতিতে উপনির্বাচনটি অক্টোবরে হতে পারে। আর সেই নির্বাচনে আসন হারালে মরিসনকে বাধ্য হয়েই ১৫০ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টে আইন পাস করার জন্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির কাছে বর্তমানে ৬৯টি আসন রয়েছে।