গেল শুক্রবারে দেশজুড়ে ৪২ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো চলতি বছরের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘সাপলুডু’। পুরো সপ্তাহ জুড়ে রীতিমত ঢাকাই ছবির বাজার চাঙ্গা করে রেখেছে ছবিটি। দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে প্রেক্ষাগৃহ কমলেও এই ছবির নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল বললেন, প্রথম সপ্তাহেই হিট সাপলুডু!
প্রথম সপ্তাহে ‘সাপলুডু’র সেল রিপোর্ট কেমন ছিলো?-প্রশ্নে নির্মাতা চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, প্রথম সপ্তাহে হলগুলো থেকে ৫৩ লাখের মতো সেল রিপোর্ট পেয়েছি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
ডিজিটাল সত্ব, টেলিভিশন সত্ব, টাইটেল স্পন্সর-এর হিসেবে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র প্রেক্ষাগৃহ থেকে এই আয়কে ‘বেশ ভাল’ বলছেন নির্মাতা। প্রথম সপ্তাহে ‘সাপলুডু’ নিয়ে মানুষের যে জোয়ার দেখেছেন, এটি যে কোনো নির্মাতার জন্য অভিভূত হওয়ার মতো, বলছিলেন দোদুল।
প্রথম সপ্তাহে ৪২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে বেশ কিছু হল হাতছাড়া হয়েছে ‘সাপলুডু’র। তবে ঢাকার বাইরে যোগ হয়েছে কিছু নতুন হল। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রিশটির মতো প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি।
নির্মাতার অভিযোগ, দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। ছবিটি নিয়ে যে সব হল মালিকরা দ্বিতীয় সপ্তাহে চালানোর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, তারা অদৃশ্য কারণে শেষ সময়ে এসে ছবিটি নেননি।
দোদুল বলেন, একটি ছবি ভাল চললেতো এটা এই ইন্ডাস্ট্রিরই লাভ। এটি নিয়ে কেন এতো রাজনীতি?
এদিকে বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে তৈরী হওয়া বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চলচ্চিত্র প্রেমীরা অভিযোগ করছেন, অন্য যে কোনো ছবির চেয়ে ভাল চলার পরেও ‘সাপলুডু’ নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু গ্রুপে নয় ‘সাপলুডু’ নির্মাতার ইনবক্সেও এমন শত শত অভিযোগ দর্শকের।
নির্মাতার ভাষ্য, ষড়যন্ত্রের সাথে হয়তো পেরে উঠবো না। কিন্তু এও জানি ভাল ছবি থেকে দর্শককে দূরে সরানো যাবে না। কোনো না কোনো ভাবে তারা ঠিকই সেটা খুঁজে নিবে। নকল ছবির যুগ শেষ, বাংলার দর্শক এখন সচেতন।
আরিফিন শুভ ও বিদ্যা সিনহা মিমের ‘সাপলুডু’ হলেও ছবিতে তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান, সালাহউদ্দিন লাভলু, শতাব্দী ওয়াদুদ ও রুনা খানদের অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকের। এই তারকা অভিনেতাদের লুক, সংলাপ ও অভিনয়ের প্রশংসাও করছেন দর্শক।