বিপিএলের ১১তম ম্যাচে একে অপরের বিপক্ষে খেলছে খুলনা টাইটানস ও চট্টগ্রাম ভাইকিংস। টস হেরে আগে ব্যাট করে ভাইকিংসকে ১৫২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইটানস।
নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৫১ রানে পুঁজি পেয়েছে খুলনা। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আসরে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা দলটি। প্রথম দুই ওভারে রান আসে ৩০। ফ্রেইলিঙ্কের করা গোড়াপত্তনের ওভারে ১৩। সানজামুলের করা দ্বিতীয় ওভারে ১৭। যাকে বলে একেবারে ‘উড়ন্ত সূচনা’।
কিন্তু দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দীকের ওড়াটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। নাঈম হাসানের করা তৃতীয় ওভারে জোড়া ভাঙে তাদের। সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইনলেগে আবু জায়েদ রাহির হাতে ধরা পড়েন আইরিশ তারকা। ১০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় করেন ১৮ রান।
স্টার্লিং ফিরতেই রানের গতিতে ভাটা পড়ে খুলনার। এরমধ্যে ৪১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট। ফ্রেইলিঙ্কের বলে কাভারের উপর দিয়ে ভাসিয়ে মারতে গিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ হন জুনায়েদ। স্টার্লিংয়ের সমান বাউন্ডারিতে ১৫ বলে তিনি করেন ২০ রান।
দুই উইকেট হারানোর পর ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনে মিলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন, যদিও বল খেলেছেন ৮০টি। সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আবু জায়েদের শিকার হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৪৫ রান করেন মালান।
সঙ্গী হারিয়ে সাজঘরে ফিরতে দেরি করেননি মাহমুদউল্লাহও। সেই সিকান্দার রাজার হাতেই তিনি ক্যাচ দেন সানজামুল বলে। চার চারে ৩১ বলে ৩৩ রান করেন খুলনা অধিনায়ক। ব্যাট হাতে নেমেই রান তোলায় মনোযোগ দিয়েছিলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। এক চার ও এক ছয়ে ৫ বলে ১২ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। তাকেও ফেরান সানজামুল।
শেষের ব্যাটসমানরা ঝোড়ো ইনিংস খেলতে না পারায় খুলনার ইনিংস ১৫১ রানের বেশি এগোয়নি।
খুলনার আউট হওয়া ৬ উইকেটের দুটি নিয়েছেন চট্টগ্রাম ভাইকিংসের সানজামুল ইসলাম। অন্য চারটি উইকেট চারজন বোলার ভাগ করে নিয়েছেন।