মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন, তাই উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রেও পিছিয়ে ছিল সন্দ্বীপ। জাতীয় উৎপাদন বাড়লেও এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই দ্বীপের মানুষ। এখানে মাত্র একটি জেনারেটর দিয়ে ১২শ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেয়া হয়। তাও বেশিরভাগ মানুষের ভাগ্যে জোটে না।
এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ যাচ্ছে সন্দ্বীপে। আগামী বছর জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে সন্দ্বীপবাসী। নদীর পানির তলদেশ দিয়ে সাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ১৪৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
সীতাকুণ্ডের বাকখালী থেকে সন্দ্বীপের বাউরিয়া পর্যন্ত পনেরো কিলোমিটার জুড়ে সাবমেরিন ক্যাবল টানার কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে সরবরাহ সম্ভব ৫০ মেগাওয়াট। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মূল লাইনের বিদ্যুৎ পাবে সন্দ্বীপবাসী।
সাব স্টেশনের নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বাউরিয়া ঘাট সংলগ্ন নির্ধারিত স্থানে ক্রেনসহ অন্যান্য নির্মাণ সরঞ্জাম আসতে শুরু করেছে। চলছে মাটি ভরাটের কাজ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় গ্রিড থেকে সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, বিদ্যুতের সংযোগের মাধ্যমে বদলে যাবে দ্বীপটির আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন: ইতোমধ্যে সাবমেরিন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি শিপিং হয়ে গেছে। শিঘ্রই এগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। আগামী বছরে সন্দ্বীপের সঙ্গে জাতীয় গ্রিডের সংযোগ হবে। এই লক্ষ্যে সন্দ্বীপ জুড়ে সঞ্চালন লাইন টানার কাজ এগিয়ে চলছে।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে সন্দ্বীপে ঠিকঠাক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেলে পরবর্তীতে হাতিয়া, কুতুবদিয়াসহ অন্যান্য দ্বীপেও একইভাবে বিদুৎ দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।