লিগ পর্বের ম্যাচে আবাহনীকে পাত্তাই দেয়নি মোহামেডান। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওইদিন ৮ উইকেটে হার দেখতে হয়েছিল আবাহনীকে। এবার সুপার লিগের ম্যাচে মোহামেডানকে রেকর্ড ২৬০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল তামিম-সাকিবদের আবাহনী।
আকাশী-নীলদের রেকর্ড রান সংগ্রহের দিনে ভরাডুবিই হলো সাদা-কালোদের। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে জয়-পরাজয়ের ব্যবধানে নবম স্থানে মোহামেডানের এ হারটি। এছাড়া বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার এটি।
৩৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে ২৪.৩ ওভারে ১১১ রানেই গুটিয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের দল। অসহায় আত্মসমর্পণে শিরোপার লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে মোহামেডান। সুপার লিগের দুই ম্যাচের দুটিতেই হারলো তারা। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ৬.৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন।
এরআগে, টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা মোহামেডানের বোলারদের ওপর শুরু থেকেই ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। মূলত লিটন কুমার দাস ও ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের সেঞ্চুরিতেই বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। ৬৪ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মূলত শুরু হয় আবাহনীর ইনিংস। লিটন ও কার্তিক মিলে মোহামেডানের বোলারদের কচুকাটা করেন।
দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে লিটন গড়েছেন ১৫০ বলে ১৬২ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত বোল্ড হয়েছেন আরিফুল হকের বলে। তার আগে ১৮ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ১৩৯ রান।
লিটন আউট হওয়ার সময় কার্তিকের রান ছিল ৫৩। সেখান থেকে প্রায় চোখের পলকেই পৌঁছে যান শতকে। ৬৬ বলে স্পর্শ করেছিলেন অর্ধশতক, পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে মাত্র ২৩ বল! শেষ পর্যন্ত আউট হওয়ার আগে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৭ বলে ১০৯ রান করেন তিনি।
এদের আউটের পরও রানের চাকা থেমে থাকে নি আবাহনীর। উইকেটে গিয়েই তাণ্ডব চালান সাকিব। ২২ বলে করেছেন অর্ধশতক। নাঈম ইসলামের বলে আউট হয়েছেন ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৫৭ রান করেন তিনি।