প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পরিচিত মুখ আবদুল জলিল ওরফে স্বপন মামা। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাচ্চু মিয়া জামিন পাওয়ার পর তার লোকজন উল্টো স্বপন এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের মামলা দিয়েছে। মামলা চালাতে গিয়ে দেনায় জর্জরিত স্বপন এখন শুধু মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার চান।
আবদুল জলিল ওরফে স্বপন মামা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ৩৬ বছর ধরে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। ২০ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী মেয়েসহ তার পরিবার থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামে। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে একই গ্রামের প্রায় ৭০ বছর বয়সী বাচ্চু মিয়া ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওইদিনই অভিযুক্তসহ তার দুই ভাই বাহার ও আক্কাসকে আসামি করে মামলা করার পর বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর ছয় মাস পর অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল আসামিকে ২৭ নভেম্বর জামিন দিয়ে দেন। এরপর আসামিপক্ষের লোকজন স্বপন, তার ছেলে রনি এবং চাচাতো ভাইকে আসামি করে প্রথমে মাদকের ও ডাকাতির মামলা করে।
আবদুল জলিল ওরফে স্বপন মামা বলেন, আমি যেনো বিচারটা পাই, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি। আমি গরিব মানুষ,আমার তো টাকা পয়সা নেই। মামলা চালানোর কোন শক্তি নেই। মামলাটা যাতে দ্রুত শেষ করতে পারি।
মামলা চালাতে গিয়ে এরই মধ্যে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো বিচার পাননি স্বপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চায়ের স্টল দিয়ে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন আবদুল জলিল ওরফে স্বপন মামা। তার বিপদে সবাই এগিয়ে আসবেন এমন আশা করছেন তিনি।