প্রতিবন্ধী এবং অটিজম আক্রান্ত লোকজনকে সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য কার্যকর নীতি এবং কর্মসূচি গ্রহণে বিশ্বের সকল দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি) বিষয়ে অর্থনৈতিক এবং কারিগরিভাবে সীমাবদ্ধ দেশগুলোর কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কাঠামোগত পদ্ধতি নির্ধারণের সচেতনতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তাদেরকে দিক-নির্দেশনা প্রদানের মত কোন মডেল বা নির্দেশিকা এতদিনেও তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে অটিজম এবং অন্যান্য নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিয়মতান্ত্রিক কাঠামো ছাড়া সার্ভিস ডেলিভারি মডেল কখনও কার্যকর হতে পারে না। অর্থনৈতিকভাবে পর্যাপ্ত এবং অদূর ভবিষ্যতের জন্য ও টেকসই-মজবুত হতে পারে না। এক্ষেত্রে ডাটার স্বল্পতা, সাংস্কৃতিকভাবে সচেতন, প্রমাণভিত্তিক ইন্টারভেনশন কর্মসূচি এবং বিদ্যমান থাকা কর্মসূচি এবং সেবার বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার।
ভুটানের থিম্পুর হিজোতে বাংলাদেশ দুতাবাসের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভুটান সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় দেশটির রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন।
এইসফরে দ্বৈতকর প্রত্যাহার, বাংলাদেশের নৌপথ ভুটানকে ব্যবহার করতে দেয়া, ভুটানে বাংলাদেশের চ্যান্সেরি ভবনের জন্য জমি দেয়াসহ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।