যে কোনো উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য সুপেয় পানীয় জলের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সময়ে আমাদের নানা কর্মকাণ্ডের ফলে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে সবধরণের জলাশয় এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে মানুষসহ গোটা জীববৈচিত্র্যের উপর।
আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা ছোট বড় অসংখ্য নদী, হাওর, বাওড়, বিলসহ অন্যান্য জলাশায়গুলো সুপেয় জল ও মূল্যবান জলজ সম্পদের আধার। এই জলাশায়গুলোর উপর আমাদের জীবন অনেকাংশেই নির্ভরশীল। নানা ধরণের মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী নিয়েই এই জলজ জীব বৈচিত্র্য এবং এখানকার প্রতিটি সদস্য বিভিন্নভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
এ সমস্ত জৈব উপাদান একদিকে যেমন আমাদের খাদ্যের যোগান দিয়ে আসছে অন্যদিকে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করছে। কিন্তু নদীদূষণের বিরূপ প্রভাবে এ প্রাকৃতিক সম্পদগুলো আজ বিলীন হতে বসেছে। কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার, ট্যানারি শিল্প, বস্ত্রশিল্প, সার কারখানা ও সিমেন্ট কারখানা এসব নদীর পানিকে দিনদিন মারাত্মক দূষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে আমাদের দেশীয় মাছের প্রজাতিগুলো। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদির যোগান দিয়ে থাকা এই জলাভূমি বাঁচাতে হলে এখনও যেটুকু অবশিষ্ট আছে তা রক্ষা করতে হবে।
তবেই টিকে থাকবে আমাদের নদ-নদীগুলো এবং এর অমূল্য জলজ জীববৈচিত্র্য।