নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৬৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে ৯ দিনব্যাপি তার বইয়ের একক মেলার আয়োজন করেছেন প্রকাশকরা।
উদ্বোধনীতে বিশিষ্ট জনেরা বলেছেন, শুধু তার জন্মদিনই নয় প্রতিটি দিনই বাংলাসাহিত্য এভাবেই স্মরণ করবে হুমায়ূনকে। তিনি বাঁচবেন তারই সৃষ্টিতে।
নানা ভাবেই পালিত হচ্ছে জননন্দিত কথাসাহিত্যিক-নাট্যকার-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। তার লেখনিই সবচেয়ে শক্তিশালী, তার জাদুকরি লেখা তৈরি করেছে নতুন পাঠক সমাজ। তাই তার প্রকাশকরা আয়োজন করেছেন হুমায়ূন আহমেদের একক বই বেলার। শুরুতেই “হুমায়ূন আহমেদ শিশু কিশোর রচনাবলীর ২য় খন্ড” আর “তোমাদের জন্য রুপকথার রঙ্গিন সংস্করণ” বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৬৭টি বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয় হুমায়ূন আহমেদের একক বই মেলার। পাঠক আর ভক্তরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ক্ষণজন্মা এই শিল্পওস্রষ্টাকে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, এই এক ব্যক্তি আমাদের দেশে বিরাট পাঠক সৃষ্টি করে গেছে। সেজন্যই উনি আমাদের কাছে চির স্মরণীয় এবং সম্মানের পাত্র।
কথা-সাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত বলেন, মাতাল হাওয়া পড়বার পরে মনে হয়েছে এটা একটা অসম্ভব রচনা। মাতাল হাওয়া মধ্য বস্তবতার ছোঁয়া দেখেছি। তাকে সন্মান জানাতে আর তার কর্মকে আরো ছড়িয়ে দিতে কিছু উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানান বিমিষ্টজনেরা।
শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিল্প সাহিত্যকে খুবই পছন্দ করেন। সুতারাং আমরা সবাই মিলে যদি এই প্রঙ্গনে স্বোচ্চার হই যে,‘হুমায়ূন আহমেদের নামে সরকারীভাবে কিছু হতে হবে। তাহলে সেটা হয়ে যাওয়া নিশ্চিয়তা মোটামুটিভাবে দেওয়া যেতে পারে।’
কথা সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, তার বইয়ের এখন পর্যন্ত কোন সুন্দর অনুবাদ নাই। আর্ন্তজাতিক বই প্রকাশক যারা আছেন, তাদের কাছে তার বই অনুবাদ হওয়া উচিত ছিলো।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, একটি বইয়ের অনেকগুলো পাতা থাকে। এই অনেকগুলো পাতার আমি কিছু জানি, কিছু জানে তার ভাইবোনরা, আবার তার সন্তানরা কিছু জানেন। তার বিষয়গুলো সবাই আমরা ভেঙ্গে ভেঙ্গে জানি। এই সামগ্রিকভাবে এই হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে একটা বই প্রকাশিত হোক।
মেলায় এক সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের সকল বই পাঠকদের হাতে তুলে ধরাই প্রকাশকদের মূল লক্ষ্য। অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বলেন, এই বই মেলায় জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানানো। আবার পাঠককে একটি জায়গায় এসে তার বইগুলোকে তোদের হাতে তুলে দেবার সুযোগ করে দেওয়া।
হিমু, মিসির আলীদের মতো হুমায়ূন আহমেদের সব অমর সৃষ্টিই পাওয়া যাবে এ বই মেলায়। ৯ দিনব্যাপি এই মেলা শেষ হবে ২১ শে নভেম্বর।
প্রতিদিন সকাল ১১টা তেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গন।