চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রণোদনা প্যাকেজে শর্ত শিথিল, ঋণ পাবে অনেক প্রতিষ্ঠান

করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে একজন গ্রাহককে ঋণ প্রাপ্যতার সমপরিমাণ অর্থ ৩ বছরের মধ্যে কয়েক কিস্তিতে দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে কোনো অবস্থায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ দেয়া যাবে না।

এই বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে যেন অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়া যায় সে লক্ষ্যে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ভিত্তিতে ঋণ প্রাপ্যতার সমপরিমাণ অর্থ ৩ বছরে কয়েকটি কিস্তিতে দেয়া যাবে। অর্থাৎ ৩০০ টাকার ঋণের অর্থ ব্যাংকগুলো এক সঙ্গে গ্রাহককে না দিয়ে প্রতি বছর ১০০ টাকা করে দিতে পারবে। এতে করে বাকি ২০০ টাকা অন্য ক্ষতিগ্রস্ত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার সুযোগ পাবে। ফলে অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এই অর্থ নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে।

মহামারি করোনার কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে সরকার। এই অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে দেয়া হবে। এ তহবিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। তবে তাদের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে, বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ভিত্তিতে প্যাকেজের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিটি ঋণ সীমা ও মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াবলী বর্ণিত রয়েছে। আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুকূলে ঋণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে গতিশীল ও পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুকূলে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেমন- এ প্যাকেজের আওতায় সাধারণভাবে ঋণগ্রহীতা বা গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিটি ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ এক বছর। ঋণ প্রাপ্যতার সমপরিমাণ অর্থ কোনো গ্রাহকের অনুকূলে এক বছরে প্রদান করা সম্ভব না হলে অবশিষ্ট প্রাপ্য অর্থ আলোচ্য প্যাকেজের অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে ঋণ হিসেবে প্রদান করা যাবে।

বিদ্যমান ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা বা গ্রাহক পর্যায়ে মোট ঋণ বা বিনিয়োগের পরিমাণ কোনোভাবেই ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ ভিত্তিক ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ মঞ্জুরীকৃত/প্রদত্ত সীমার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না। এছাড়া নতুন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রেও বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ প্রাপ্যতা সীমার ৩০ শতাংশের অধিক হবে না।

ব্যাংক কর্তৃক কোনো ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতাকে যেভাবেই ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান করা হোক না কেন (এককালীন অথবা প্যাকেজের মেয়াদে একাধিক বছরে প্রদত্ত হয়ে থাকলে) একজন গ্রাহকের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ সার্কুলার লেটারের অনুচ্ছেদ ২(খ)-এ বর্ণিত মোট সীমার মধ্যে প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের উপর সুদ/মুনাফা ভর্তুকি প্রাপ্য হবেন।