চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের দেয়া প্রণোদনার সুফল মেলার পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের এ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ বিশ্বব্যাংক বলেছে, এই প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৬ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও করোনার কারণে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
সবমিলিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় পরিসংখ্যানের বিচারে বাংলাদেশ খুব একটা খারাপ অবস্থায় নেই বলা চলে। করোনাকালে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, রেমিটেন্স প্রবাহ এবং বৈশ্বিক নানা সাহায্য সহযোগিতার কারণে এই ধারা ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে দেশজুড়ে, লকডাউন ও সাময়িক নানা বিধি নিষেধে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকটাই থেমে আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চলছে জরুরি কর্মকাণ্ড। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই ভ্যাকসিন কার্যক্রমসহ নানা পদক্ষেপের ফলে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ একটি ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।
সামনে আগামী অর্থবছরের বাজেট আসছে, যা করোনাকালে দ্বিতীয় বাজেট। এবারের বাজেট নানা কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। মেগা ও বাহুল্য প্রকল্পে ব্যয় কমিয়ে মানবিক-সামাজিক নানাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে করোনার ধাক্কা সামাল দেয়া খুবই জরুরি। গতবছর স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও নানা অনিয়ম ও অপব্যবহারের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এছাড়া বিভিন্নখাতে বরাদ্দ অর্থ খরচে যাতে দুর্নীতি না হয়, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক নানা কর্মকান্ড সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে প্রবৃদ্ধিসহ নানা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে দেশে।