চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রচারণায় খালেদা-তারেকের ছবি আচরণবিধি লঙ্ঘন: এইচ টি ইমাম

বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারকে আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

শুক্রবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বরাবর লিখিত চারটি অভিযোগ জমা দেন এইচ টি ইমাম। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে দলের চেয়ারম্যান পদে বহাল নেই, তাই নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। অন্যদিকে, তারেক রহমান একজন ফেরারি আসামি। তাই তারেকের ছবি নির্বাচনী পোস্টারে ব্যবহার করা যাবে কিনা সেই বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামায়াতের কয়েকজন প্রার্থীর বিষয়ে একটি তালিকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তারা মনোনয়ন ফরমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দলের জায়গায় তারা মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাদের মনোনয়ন বাতিলযোগ্য। জামায়াত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আমরা কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে ১১৮টি এনজিওকে নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, এরমধ্যে চারটি এনজিওর বিরুদ্ধে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এই চারটি হচ্ছে- খান ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, লাইট হাউজ এবং মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে এমন কাউকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না যারা কোন দল, ব্যক্তি বা বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠানের আদর্শের প্রতি অনুগত। এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি সম্পৃক্ত মন্তব্য করে তিনি এগুলোকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

‘‘আমরা লক্ষ্য করলাম বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। যেখানে নির্বাচনী সমাবেশ হবে, সেখানে একটি লাঠির মাথায় ধানের শীষ প্রদর্শন করা হবে। এটি একটি আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ক’দিন আগে আমরা পল্টনে এসব লাঠির নির্মম ব্যবহার দেখেছি। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’’

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এই বিষয়টি এর আগেও আমরা কমিশনে জানিয়েছি। আজও আমরা লিখিতভাবে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অবগত করেছি এবং এর প্রতিকার চেয়েছি। সারাদেশে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে অথচ বিএনপি-জামায়াত উল্টো অভিযোগ করে যাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে এ ধরণের ঘটনা আমরা প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরবো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোন আস্থাহীনতা নেই। এখানে ভিন্নমত থাকতেই পারে। এটি একটি কোর্টের মতো, সেখানে একজন নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকলের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষে রিয়াজুল করিম কাউসার, বিপ্লব বড়ুয়া, নজিবুল্লা হিরুসহ অন্যরা।