চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যেনো হয়রানির শিকার না হন

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সারাদেশ জুড়ে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২-এর ধারা ৭ (ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার সুপারিশবিহীন শুধু বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

জামুকার ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাইযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এদিন (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে, মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষ্য, তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বহু মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে গোপালগঞ্জ জেলায় কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্ভাব্য হয়রানির শঙ্কায় এই নতুন যাচাই-বাছাই থেকে অব্যাহতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এরকম প্রতিক্রিয়া কমবেশি দেশজুড়েই আছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রমতে, ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আইন ও বিধিবহির্ভুতভাবে প্রায় ৫৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যারা ভারতীয় তালিকা বা মুক্তিবার্তায় অর্ন্তভুক্ত আছেন তাদের যাচাই বাছাই করা হবে না। সে হিসেবে পুনঃযাচাইয়ে ৩৯ হাজার ৯৬১ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন তালিকা ও সার্টিফিকেট বিষয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সংরক্ষণ সীমাবদ্ধতা এবং অজ্ঞতার কারণে অনেকে তালিকায় যেমন বাদ পড়েছেন, তেমনি সহযোদ্ধাদের মৃত্যুতে সাক্ষীর অভাবও রয়েছে। যেহেতু তালিকায় কিছু ত্রুটি আছে বলে অভিযোগ ও প্রমাণ সরকারের কাছে আছে, সেজন্যই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের কাজে হাত দিতে হয়েছে মন্ত্রণালয়কে। তারপরেও বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বলে আমরা মনে করি।

এছাড়া জনপ্রশাসন কর্মকর্তারা এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ যত্নের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমাদের আশাবাদ। তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন করতে গিয়ে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা যেন হয়রানির শিকার না হন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর মনোযোগ কামনা করছি।