শীতের শেষে আবারও এসেছে বাঙালির উৎসব ও মিলনের বার্তা বয়ে আনা ঋতুরাজ বসন্ত। বাঙালি ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ধারায় বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে পালন করা হয় ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে।
এই উৎসবকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে চলছে বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময়। আর প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্রাট আকবর বাংলা নববর্ষ গণনা এবং বসন্ত উৎসব প্রবর্তন করলেও এ উৎসব এখন পরিণত হয়েছে বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি আর বইমেলার মধ্যে বসন্তের আগমন এক অন্যমাত্রা যোগ করে প্রতিবছর। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আর মহান একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে ফাল্গুন উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে ভাবগাম্ভীর্যও যুক্ত হয়েছে এই ফাল্গুনে। এছাড়া এই বসন্তে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির ভ্যালেন্টাইন ডে স্থান করে নিয়েছে দেশের তরুণ-তরুণীর মনে।
বইমেলা, ডাকসু নির্বাচনসহ নিয়মিত নানা আয়োজনে মূখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকা। কয়েকবছর আগে এই বসন্তেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘটেছে প্রকাশক-লেখক-ব্লগারের উপরে নিন্দনীয় প্রাণঘাতি হামলা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর মনোযোগে গেল বছরগুলোতে সেসব ঘটনা বন্ধ হয়েছে।
আমরা আশা করি, নতুন সরকারের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বাংলা বর্ষের শেষ সময়েও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেকোনো উৎসব আয়োজন সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের আরও মনোযোগী ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলেই জাতীয় জীবন আরও গতিশীল হয়ে উঠবে। বাসন্তী ভালোবাসায় উজ্জল হোক সবার নিত্য সময়।