লেখক অভিজিৎ এবং প্রকাশক দীপন হত্যার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পুরস্কার-ঘোষিত আনসার আল ইসলাম নেতা সুজন ওরফে সাদকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। হত্যায় সরাসরি অংশ না নিলেও হত্যাকারীদের প্রশিক্ষণ এবং হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে সে।
গত বছরের একুশে বই মেলার কাছে জঙ্গি হামলায় নিহত হন লেখক অভিজিৎ রায়। ওই বছরেরই ৩১শে অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ প্রকাশনা অফিসে জঙ্গিরা প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করে। তার কয়েক ঘণ্টা আগে লালমাটিয়ার আরেক প্রকাশনা অফিসে প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়।
ওই দু’টি মামলার তদন্তে এখনও কোনো কিনারা করতে না পরলেও ডিবি বলেছে, শনিবার রাতে টঙ্গী রেল স্টেশন থেকে আটক আব্দুস সবুর ওরফে সা’দ দু’টি ঘটনারই মূল হোতা।
ডিএমপি’র মুখপাত্র মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিত, দীপন ও টুটুল হত্যার কথা সে স্বীকার করেছে। মাদ্রাসার পড়ার সময় কথিত ইশতিয়াক ভাই তাকে টার্গেট করে। বলে এখন ভালো করে পড়াশোনা করো, পরে যখন হিজরতের সময় হবে তখন জানানো হবে। পরে সেই হিজরতের পথে নিয়ে যায় তাকে।
ডিবি জানিয়েছে, হত্যা পরিকল্পনা তৈরি ও রেকি করা এবং প্রশিক্ষণ ছাড়াও আনসার আল ইসলামের স্লিপার সেল সদস্যদের অস্ত্র চালনা বিশেষ করে চাপাতি চালানোর প্রশিক্ষণ দিতো মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসার ছাত্র সবুর ওরফে সাদ।
মনিরুল ইসলাম যোগ করেন, দীপন ও টুটুল হত্যাই যারা সম্পৃক্ত ছিলো ধর্মের কথা বলে সেই তাদের হত্যায় উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই তাকে বলা যায় অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। যাদের বোধ-বুদ্ধি কম কিন্তু সাহসী তাদেরই তারা এভাবে কোরবানীর পশু হিসেবে নির্বাচন করে।
গত মধ্য জুনে টুটুল হত্যা চেষ্টায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে ডিবি গ্রেফতার করে সুমন ওরফে সাইফুল এবং দীপন হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করে মইনুল হাসান শামীমকে। জিজ্ঞাসায়, সাদের কাছে অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা জানিয়েছিলো তারা।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিকালে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে খুন হন ফয়সল আরেফিন দীপন। ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন তিনি।