চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পৌর ও ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামায়াত

আগামী নভেম্বরে সারাদেশের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। দলীয় প্রতীকে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশোধন করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনী আইনে।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলীয় প্রতীক নিয়ে পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামায়াতে ইসলাম। পাশাপাশি সংশোধিত আইনেও দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলের প্রতীকে কেউ অংশ নিতে পারবে না; এমন বিধান থাকবে বলে জানিয়েছে ইসি।

বহুবছর ধরেই নির্দলীয় নির্বাচনগুলোকে দলীয় ব্যানারে করার জন্য স্বয়ং নির্বাচন কমিশনসহ অনেক মহলই আইন সংশোধনের তাগিদ দিয়ে আসছে।

আসন্ন পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধন করছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আইন সংশোধন হয়ে গেলে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বাইরে আর কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরে সারাদেশের পৌরসভা নির্বাচন করতে হলে শিগগিরই স্থানীয় সরকার বিভাগকে আইন সংশোধনের কাজ শেষ করার অনুরোধ করেছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নভেম্বরের কোনো একটি সময়ে তফসিল ঘোষণা করে ডিসম্বরে নির্বাচনটি করতে চাই আমরা। বিধিমালার খসড়াটি করে ফেলা যায় কি না সেই চেষ্টা নির্বাচন কমিশন করে যাচ্ছে। কারণ আইন পরিবর্তন করতে যেয়ে যেনো নির্বাচনটি করতে দেরি না হয়ে যায় সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

বিভিন্ন সময় নির্দলীয় নির্বাচনগুলোতে একাধিক প্রার্থী অংশ নেওয়ার ফলে প্রার্থী সমর্থন দিতে একদিকে দলগুলোকে যেমন হিমশিম খেতে হয়। অন্যদিকে দলের শৃংঙ্খলাও ভঙ্গ হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে সহিংসতাও।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে তৃণমূলে সঠিক নেতৃত্ব আসবে, সহিংসতাও কমবে বলেও মনে করেন ইসি।

সচিব আরো বলেন, নির্বাচনটি যেহেতু রাজনৈতিক ভিত্তিতে হবে সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিদিষ্ট প্রতীক নির্ধারিত থাকবে। আমাদের ধারনা রাজেনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার করা সমীচীন হবে।

জামায়াত ইসলামীর নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত যেহেতু জামায়াত দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে সেক্ষেত্রে এই নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

পৌরসভা নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ভাবে আবারো ইভিএম ব্যবহারের কথা চিন্তা ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

২০০৯ সালে দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অন্য কয়েকটি ইসলামপন্থী সংগঠনের ২৫ জন নেতার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ওই রায় দেওয়া হয়।

এর আগের বছর ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

আইনানুযায়ী কোনো দল নিবন্ধিত না হয়ে সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে কোনো ধরণের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।