চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পে-স্কেল বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের ফি বৃদ্ধি ৫০ শতাংশ

বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর জন্য সরকারের কোনো নির্দেশনা না থাকলেও পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর টিউশন ফি ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ।

অভিভাবকরা বলছেন, অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার করা না হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাবেন তারা।

টিউশন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে সকালে বিক্ষোভ করে উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম।

স্কুল শেষে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের সঙ্গে ছিলো শিক্ষার্থীরাও। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে আল্টিমেটাম দেন অভিভাবকরা।

অভিভাবক শামিমা সুলতানা রেক্সনা জানান, সেশন চার্জের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এত বিপুল অংকের টাকা কোন খাতে ব্যয় হয় অভিভাবকরা তা জানেন না। শিক্ষার্থীরা এ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না।

সরকারিভাবে কোচিং নিষিদ্ধ করা হলেও স্পেশাল ক্লাসের নামে স্কুলটি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টিউশন ফি’র সমপরিমাণ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায়’ বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা আন্দোলনে নেমেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বেতন বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসাইন বলেছেন, শিক্ষকদের বাঁচিয়ে রাখতেই ব্যবস্থাপনা কমিটি বেতন বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। গভর্নিং বডি যদি নিজস্ব অর্থায়নে কোনো শিক্ষক, কর্মচারী বা কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়, তবে বেতন বাড়ানো কীভাবে বিধি বহির্ভূত হয় সে প্রশ্ন করেন তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, সরকার বর্তমানে যে পে-স্কেল ঘোষণা করেছে, তা বাস্তবায়নের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বাড়ানো দরকার হলেও স্কুল বাড়িয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ।

প্রতি শ্রেণীতে কমপক্ষে এক থেকে দুই হাজার টাকা বৃদ্ধির অভিযোগ করে অভিভাবকরা বলেছেন, শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের পকেট কাটলেও তাদের পক্ষ হয়ে মন্ত্রণালয় কখনোই কথা বলে না।