চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পেরুর দুর্ধর্ষ গেরিলা নেতা গুজমান কারাবন্দী অবস্থায় মারা গেছেন

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর দুর্ধর্ষ গেরিলা নেতা আবিমায়েল গুজমান কারাবন্দী অবস্থায় মারা গেছেন।

পেরুর মাওবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী শাইনিং পাথের প্রতিষ্ঠাতা গুজমানের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পেরুর কারা প্রধান সুসানা সিলভা শনিবার আরপিপি রেডিওকে বলেন, গুজমান বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন, আগস্টের প্রথমদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।

গত দুই দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে ফের হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল, কিন্তু তার আগেই স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে নিজের কারাকক্ষেই তার মৃত্যু হয়।

“সকালে আমাকে জানানো হয় যে, সন্ত্রাসী আবিমায়েল গুজমান সাধারণ সংক্রমণে ভুগে মারা গেছেন,”  পেরুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ালতের আইয়ালা এমনটি বলেছেন বলে তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে রয়টার্স।

দর্শনের সাবেক অধ্যাপক গুজমান আজীবন কমিউনিস্ট ছিলেন। ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকে তিনি চীনে গিয়েছিলেন। সেখানে চীনের নেতা মাও সেতুংয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লবে বিস্মিত হন তিনি। এরপর শ্রেণী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পেরুতে মাওবাদী কমিউনিজম প্রতিষ্ঠায় কৃতসংকল্প হন।

তার অনুসারীরা কার্ল মার্ক্স, ভ. ই. লেনিন ও মাওয়ের পর তাকে মার্কবাদের চতুর্থ তরবারি বলে ডাকতো এবং বিপ্লবী মন্ত্রে, গানে, পোস্টারে ও সাহিত্যে তাকে শ্রদ্ধা, সম্মানে ভরিয়ে তুলতো।

তার লেখা অল্প কিছু বই শাইনিং পাথ অনুসারীদের কাছে মন্ত্রের মতো হয়ে উঠেছিল। তবে তার এসব বই মার্ক্সবাদী পণ্ডিতদের তেমন নজর কাড়েনি।

১৯৯২ সালে পেরুর রাজধানী লিমা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিচারে সন্ত্রাসী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত গুজমানকে বাকি জীবন কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তার গ্রেপ্তারের বর্ষপূর্তির একদিন আগেই ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

১৯৯২ সালে লিমায় এক গাড়ি বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হওয়ার এক মামলায় ২০১৮ সালে গুজমানকে দ্বিতীয়বারের মতো আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।