পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির এলসি (ঋণপত্র) এর সুদহার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা অনুযায়ী, ৯ শতাংশের বেশি সুদে এলসি করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সুদের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য ৩০ মে পর্যন্ত যে নির্দেশনা ছিল সেটার সময়সীমা বাড়নো হয়েছে। এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদহার নির্ধারণের এই নির্দেশনা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারেও এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে। তাই বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
গত সোমবার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। এরপরই দেশের বাজারে বাড়তে থাকে এ নিত্যপণ্যের দাম। দাম বেড়ে বাজারে এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের কেজি। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ কমানোর বিষয়ে তাগিদ দেন সংশ্লিষ্টরা। বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকেও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য চিঠি দেয়া হয়। যদিও সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।