বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। কানাডার কুইবেকে পাথরে ৪.২৮ বিলিয়ন (৪২৮ বছর) বছরের ছোট একটা ফিলামেন্ট, গাঁট, নলাকার বস্তু খুঁজে পেয়েছেন তারা।
পৃথিবী নামক গ্রহটি গঠিত হওয়ার খুব অল্প সময় পরই অণুজীবটির উদ্ভব হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত যে প্রাণগুলোকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জীব বলে ধারণা করা হতো, এগুলো তার চেয়েও কয়েক’শ মিলিয়ন বছর পুরনো। নেচার জার্নালে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
তাদের দাবি, অণুজীবগুলো আকারে মানুষের চুলের প্রস্থের দশ ভাগের এক ভাগ। জীবগুলোর জীবাশ্ম বা ফসিলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ‘হেমাটাইট’ নামে একটি আয়রন অক্সাইড পাওয়া গেছে, যাকে জং বা মরিচাও বলা হয়। এই উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, অণুজীবগুলোর মধ্যে রক্তের উপাদান ছিল।
যুক্তরাজ্যের ইউনির্ভাসিটি কলেজ লন্ডন এর গবেষক ম্যাথিউ ডড বিবিসিকে বলেন, ‘এই আবিষ্কার মানুষের উৎপত্তি সম্পর্কে জানার নতুন এক অধ্যায় উন্মোচন করেছে। মানুষ এতদিন নিজেকে যে প্রশ্ন করে আসছিল: আমরা কোথা থেকে এসেছি এবং কেনই বা আমরা এখানে, তার জবাব এখন পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরানো জীব এবার আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা তাদের দেখতে এবং গবেষণা করতে সক্ষম।’
বৈজ্ঞানিক তথ্য মতে,পাথর খন্ডটি প্রাচীন সমুদ্রের তলদেশের যা প্রাচীন আগ্নেয়গিরি এবং পাললিক শিলার অর্ন্তরগত। এই শিলা জলবিদ্যুতের মত থাকে এবং ফাটল দিয়ে তাপ নেয় ও পানির নিচ থেকে বুদবুদ তোলে। এই ফাটল জীবাণুর বসবাসের জন্য খুব উপকারী বলে জানানে এই জীবাশ্মের আবিষ্কারক ড. ডোমিনিক পাপিনিউই। তিনি বলেন, ‘আমি যখন কাজ করছিলাম আমি চিন্তা করছিলাম আমরা পেয়েছি,আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন জীবাশ্ম পেয়েছিয যা আমাদের অস্তিত্বের সাথে ,আমাদের সচেতনাতা সম্পর্কে জানতে,আমাদের মূল উৎসের ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করবে’
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রাপ্ত বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণের বয়স ছিলো অস্টেলিয়ার ৩.৪৮ বিলিয়ন বছরের একটা পাথরখণ্ডে।