কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক, অস্ত্র, মানি লন্ডারিং ৭ মামলার গ্রেপ্তারকৃত এক আসামীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সেসময় গোলাগুলিতে আসামীর ভাই নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে নিহতের বিরুদ্ধেও ৮টি মামলা রয়েছে। তবে ঘটনার অন্যরকম বর্ণনা দিয়ে নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
নিহত খোরশেদ আলম (২২) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়ার বাসিন্দা হাজী গোলাম হোসেনের ছেলে। নিহতের বড় ভাই এবং মাদক ও মানি লন্ডারিসহ ৭ মামলার পলাতক আসামী শামসুল আলমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন টেকনাফ থানার এএসআই রতন মিয়া, কনস্টেবল শফিকুল হক, কনস্টেবল বলরাম দাস। আহতরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ইয়াবা, অস্ত্র, মানিং লন্ডারিংসহ ৭টি মামলার আসামী শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল থানায় ফেরার পথে এই সশস্ত্র হামলা করা হয়। মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩ টি গুলি বর্ষণ করা হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামীর ছোট ভাই খোরশেদ আলম ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে ৮ টি মামলা রয়েছে।
তবে নিহতের ভাই শাহীন আলম বলেন, রাতে টেকনাফের মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় তার ভাই (নিহত) খোরশেদ আলমসহ স্থানীয় যুবকরা মিলে ব্যাডমিন্টন খেলছিলো। এক পর্যায়ে তাদের বড় ভাই শামসুল আলমকে কয়েকজন অজ্ঞাত লোক বাড়ি থেকে একটি অটোরিকশায় (সিএনজি) তুলে টেকনাফের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় খবর পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় গাড়িটি ধরার জন্য সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুলকে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে গুলি করা হয়। পরে গাড়িটি তার ভাই শামসুল আলমকে নিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। গাড়ি থেকে করা গুলিতে ছোট ভাই খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসপি হাসানুজ্জামান।